ত্বককে রোদ থেকে বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। তাই ত্বককে সূর্যের রশ্মি থেকে বাঁচাতে সানস্ক্রিন বা সানব্লক ব্যবহার করতে হবে।
দিনে বাইরে বের হলেই সানব্লক বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ। তবে কোনটি ব্যবহার করবেন, সানব্লক না সানস্ক্রিন? এ নিয়ে অনেকের মধ্যেই বিভ্রান্ত থাকে। কারণ দুটিই কাজ একই হলেও কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।
ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে একটি বাহ্যিক বাধা হিসেবে কাজ করে সানব্লক। এতে জৈব এবং অজৈব উপাদান থাকে। তাই সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে প্রবেশ করতে পারে না।
অন্যদিকে সানস্ক্রিনের কাজও একই। তবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি কিছুটা ত্বকে প্রবেশ করে। কিন্তু এর ক্ষতিকর প্রভাব ধ্বংস করে দেয়। এছাড়াও সানস্ক্রিন ব্যবহারে সূর্য থেকে ভিটামিন ডি আর অন্যান্য উপকারী উপাদানগুলো শোষণ করে নিতে পারে।
সানব্লক কাজ করে ত্বকের ব্যারিয়ার বা ঢাল হয়ে। আর সানস্ক্রিন কাজ করে ত্বকের ভেতর থেকে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি থেকে প্রতিরোধ করে সানস্ক্রিন। তাই বেশিরভাগ মানুষরাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করে থাকে। তবে সানস্ক্রিন কেনার আগে এসপিএফ লেভেল দেখে কিনতে হবে।
সানব্লক ও সানস্ক্রিনের মধ্যে পার্থক্য
· সানব্লকের ঘনত্ব বেশ অস্বচ্ছ ও পুরু। সানস্ক্রিনের ঘনত্ব লোশনের মতো।
· সানব্লক ত্বককে ইউভিবি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। আর সানস্ক্রিন ত্বককে ইউভিএ রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
· সানব্লক ত্বকের বাইরের স্তরে এক রকম বাধার সৃষ্টি করে। সব ক্ষতিকারক রশ্মি প্রতিফলিত করে ত্বককে জ্বলে যাওয়ার হাতে থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে সানস্ক্রিন ত্বকের সংস্পর্শে আসা ক্ষতিকারক রশ্মিগুলোকে ফিল্টার করে।
· সানব্লক বাহ্যিকভাবে ব্যারিয়ার তৈরি করে। সানস্ক্রিন ত্বকের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি প্রতিরোধ করে রাসায়নিকভাবে। এছাড়াও ত্বককে রাখে সজীব ও সুস্থ।
· প্রখর রোদে সারাদিনের জন্য বের হলে সানব্লক ব্যবহার করুন। এটি রোদে পোড়াভাব প্রতিরোধ করতে অধিক কার্যকরী। সানস্ক্রিনের ঘনত্ব খুব একটা পুরু না হওয়ায় এটি নিয়মিত ব্যবহারের জন্য ভালো। এটি চিটচিটে হয় না।
· সানব্লক ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গেই রোদে যাওয়া যাবে। কিন্তু সানস্ক্রিন ত্বকে ব্যবহারের ৩০ মিনিট পর রোদে যাওয়া যায়। সানস্ক্রিন কাজ করতে ৩০ মিনিটের মতো সময় লাগে।