আমাদের মধ্যে অনেকেরই রয়েছে চায়ের নেশা। সকাল-দুপুর-বিকেলে এক কাপ ভালো মানের চা না হলে যাদের চলেই না। চায়ের কাপে চুমুক দিতে পারলেই যেন ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
কোনো দোকানের এই চা যদি হয় সুস্বাদু, তাহলে ক্রেতার অভাব থাকে না। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ‘তন্দুরি’ চায়ের স্বাদ নিয়ে ক্রেতাদের মুখে মুখে আছে নানা প্রসংশা। তবে সদরঘাটের ‘তন্দুরি’ চায়ের প্রসংশা এখন সবার মুখে মুখে।
রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা সদরঘাট। এখানে সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে সন্ধ্যা কখন হয় বোঝা দায়। মানুষের আনাগোনা এত বেশি যে গণপরিবহনের মতো মানুষের জটলার দৃশ্য নিত্যদিনের সঙ্গী। এসবের মধ্যে সন্ধ্যা হলেই ভিক্টোরিয়া পার্ক সংলগ্ন সড়কের পাশে দোকান বসিয়ে নানা ধরনের চা বিক্রি করেন মো. সুমন।
সুমনের দোকানে ১৫ আইটেমের চা পাওয়া যায়। এগুলো হলো- তন্দুরি চা, কফি চা, তন্দুরি কফি, খান্দানি চা, চকলেট চা, কাজু বাদাম চা, পনির চা, স্ট্রবেরি চা, চকলেট স্ট্রেবেরি মিক্স চা, তন্দুরি মালাই, চকলেট কফি, স্পেশাল চা এবং জাফরানি চা।
এগুলোর মধ্যে তন্দুরি চা সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দূর-দূরান্ত থেকে সুমনের দোকানে তন্দুরি চা খেতে ভিড় জমান অনেকে। এদেরই একজন মো. নাঈম মোল্লা।
সুমনের দোকানের তন্দুরি চায়ের প্রসংশা করে মো. নাঈম মোল্লা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমি এর আগেও এখানে এসেছি তন্দুরি চা খেতে। চা খুব সুস্বাধু। তাই প্রায়ই চা খেতে দূর থেকে ছুটে আসি।”
সরেজমিনে সুমনের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, চা খেতে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে। কেউ বসার জায়গা পেয়েছেন, কেউবা দাড়িয়ে আছেন চা খাওয়ার জন্য। চা পেতে একটু দেরি হলেও ক্রেতাদের কোনো বিরক্তি নেই।
পরিবার নিয়ে চা খেতে এসেছেন ঐশি। সদরঘাটে আসলেই তিনি সুমনের দোকানে চা খেতে আসেন বলে সংবাদ প্রকাশকে জানান। তিনি বলেন, “আমি থাকি বসুন্ধরা শপিং মলের পাশে। সদরঘাট আমার বাড়ি। আমি সদরঘাট আসলেই এখানে চা খেতে আসি। এখানকার চা যে কত সুস্বাদু কেউ না খেলে বুঝবে না।”
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “সন্ধ্যার পর এখানে আসলে খুব ভালো লাগে। মানুষ বসে আড্ডা দেয়, খাবার খায়। আর বড় কথা হলো তারা দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছেন, তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।”
চায়ের বিশেষত্ব নিয়ে জানতে চাইলে সুমন সংবাদ প্রকাশ বলেন, “আমার দোকানের চা সাধারণ মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয়। কেন জনপ্রিয় সেটা জানি না। তবে সন্ধ্যা হলেই চা খেতে দূর থেকে ছুটে আসে মানুষ।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মূলত বিকেল থেকে রাত ১০ পর্যন্ত দোকানে চা বিক্রি করে থাকি। দৈনিক সবমিলিয়ে যত টাকার চা বিক্রি হয় তা দিয়ে সংসার চালানো হয়। তবে শুক্রবার সাধারণ মানুষের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি থাকে। সবকিছু মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।”