মানুষ পারফেক্ট হয় না। সবার মধ্যেই দোষ গুণ থাকে। তাই সৃষ্টিশীল ক্ষমতা দিয়ে বিজ্ঞানীরা পারফেক্ট গুণসম্মন্ন রোবট তৈরি করেন। কাজের গতিশীলতা বাড়াতে মানুষের শ্রমের পরিবর্তে জনপ্রিয় হয়ে উঠে রোবটের ব্যবহার। কারণ রোবট মোটামুটি সব কাজেই পারফেক্ট হয়। কেননা রোবটকে সেভাবেই তৈরি করা হয়। রোবটের মধ্যে যেসব ফাংশন সেট করা থাকবে, সেই অনুযায়ী কাজ করবে। শুধু রোবটের মধ্যে থাকে না আবেগ, উত্তেজনা। তাই রোবটরা আবেগে তাড়িত হয়ে কোনো কাজ করে না। কিন্তু যদি শোনেন, কোনো রোবট আত্মহত্যা করেছে! সেই খবরে অবাক তো হবেনই।
প্রথমবারের মতো কোনো রোবট আত্মহত্যা করার খবর ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পত্রিকার শিরোনামেও উঠে এসেছে এই খবর। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।
সম্প্রতি ডেইলি মেইল-এ প্রকাশ পাওয়া এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার গুমি সিটি কাউন্সিলে প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত এক রোবট আত্মহত্যা করেছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কর্তপক্ষের বরাতে প্রতিবেদনে জানানো হয়, গুমি কাউন্সিল ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির মাঝের জায়গাতে ভাঙা অবস্থায় রোবটটিকে পাওয়া যায়।
মূলত শহরের নাগরিকদের বিভিন্ন তথ্য দেওয়া এবং কাগজপত্র আনা নেওয়ার কাজে নিয়োজিত ছিল রোবটটি। এটি তৈরি করেছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্টার্টআপ বিয়ার রোবটিক্স। গুমি সিটি কাউন্সিলে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোবটটি কাজ করতো। আরও রোবট সেখানে কর্মরত রয়েছে। যার যেকোনো একটি তলায় কাজ করে। কিন্তু আত্মহত্যা করা ওই রোবটটি নিজেই লিফটের মাধ্যমে বিভিন্ন তলায় যেতে পারতো এবং কাজ সম্পন্ন করতো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার আগে রোবটটি সিঁড়ির কাছে হন্তদন্ত হয়ে কিছু খুঁজছিল। এরপরই ‘আত্মহত্যা’ করে রোবটটি। এই প্রথম কোনো রোবটের ‘আত্মহত্যা’করল।
ঘটনাটির কারণ এখনও জানা যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তবে রোবটের টুকরোগুলোকে খতিয়ে দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছে গুমি সিটি কাউন্সিল। যা থেকে আসল কারণ উদঘাটন সম্ভব হবে।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে মন্তব্য করেন, অতিরিক্ত কাজের চাপ না নিতে পেরেই হয়তো রোবটটি আত্মাহত্যা করতে পারে।