বাজারজুড়ে এখন কাঁচা আমের মেলা। বাজারেও যেতে হয় না, বাড়ির নিচেই টুকরি করে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা আম। বাড়ি বাড়ি এখন কাঁচা আমের আচার তৈরির ধুম পড়েছে। আবার প্রতিদিনই বানানো হচ্ছে কাঁচা আমের কোনো বিশেষ পদ। সারাবছর তো আর কাঁচা আম পাওয়া যায় না; তাই এই সময় কাঁচা আমের টক স্বাদের লোভ সামলানো কঠিন।
সারাবছর কাঁচা আম পাওয়া না গেলেও তা সংরক্ষণ করে রাখা যায়। দীর্ঘদিনের জন্য় সংরক্ষণ করে রাখলে আপনি চাইলেই কাঁচা আমের স্বাদ নিতে পারবেন। কিছু উপায়ে সহজেই কাঁচা আমকে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। চলুন, জেনে নেই সেই উপায়গুলো-
- কাঁচা আম সংরক্ষণ করতে প্রথম তা ছোট করে কেটে নিন। চার টুকরো করে নিতে পারেন। এরপর ফুটন্ত পানিতে আমের টুকরো ছেড়ে দিন। কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরপর তুলে রাখুন। ঠান্ডা হলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
- কাঁচা আম ফ্রিজে সংরক্ষণ করা সহজ। কিন্তু বাড়িতে ফ্রিজ না থাকলে কিংবা ফ্রিজের সংরক্ষণ করতে না চাইলে রোদেও শুকিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে ফুটিয়ে নেওয়া আমগুলো পরিষ্কার পাত্রে বিছিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর ভালো মানের সরিষার তেলে ডুবিয়ে রাখুন। অনেকদিন ভালো থাকবে। যেকোনো রান্নায় ব্যবহার করতে পারবেন।
- কাঁচা আমে অল্প কিছুদিনের জন্য় সংরক্ষণ করতে চান। তবে আমের টুকরোতে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর নরমাল ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
- কাঁচা আম কেটে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর তা এয়ারটাইট ব্যাগে ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। এভাবেও কাঁচা আম সংরক্ষণ করা যায়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মাপে কাঁচা আম কেটে নিতে পারেন। প্রয়োজনমতো বের করে রান্না করতে পারেন। আবার কাঁচা আমের শরবতও বানিয়ে খেতে পারবেন।
- কাঁচা আমগুলো টুকরো করে নিন। আমের ভেতরের বিচি ও পাতলা সাদা কাগজের মতো অংশটি ফেলে দিন। একটি পাত্রে পরিমাণমতো পানি, আধা টেবিল চামচ চিনি এবং আধা টেবিল চামচ ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে টুকরোগুলো আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ছাঁকনিতে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। টিস্যু দিয়ে আমের টুকরোগুলো মুছে নিন। পানি শুষে গেলে ডিপ ফ্রিজে দুই ঘণ্টার জন্য রেখে দিন। তারপর আমগুলো বের করে পছন্দের বক্সে সাজিয়ে রাখুন। এবার আবারও ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। এই উপায়ে রাখলে কাঁচা আমের স্বাদ ও গন্ধ ঠিক থাকবে।