ভালো থাকা নিজের কাছে। নিজেকে ভালো রাখতে পারেন আপনি নিজেই। তবে আশপাশের মানুষও আপনার খারাপ থাকার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যারা আপনার জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তারাই হয়তো আপনার খারাপ থাকার কারণ। পরিবার আর বন্ধু বান্ধবই আপনার আশপাশে থাকে। যাদের সঙ্গে নিয়েই প্রতিদিনের জীবন কাটছে আপনার। কিন্তু এদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো আপনাকে ভালো থাকতে দিচ্ছে না। পরিবারের সদস্যদের তো বাদ দেওয়ার সুযোগ কম, কিন্তু বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে কেউ এমন থাকলে তাদেরকে জীবন থেকে সরিয়ে রাখতে পারেন। জীবনের প্রতিটি স্তরে প্রতিনিয়ত নানাভাবে প্রভাব ফেলছে যারা, তাদের বাছাই করতে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। তাই মানুষের ধরন বুঝে বন্ধুত্ব করুন। আর কয়েকজন মানুষ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
পরচর্চা করেন যারা
যারা পরচর্চা করেন তাদের থেকে দূরে থাকুন। পরচর্চা খারাপ অভ্যাস। কেউ যদি আপনার কাছে এসে পরচর্চা করে, সে অন্যের কাছে গিয়ে আপনার নামেও পরচর্চা করবে। তাই এমন মানুষ থেকে সাবধান থাকুন। এরা সবার কথা শুনবে আর অন্যের কাছে বলবে। তাই পরচর্চাকারী যেই হোক তার কাছ থেকে দূরেই থাকা ভালো।
যারা গোপনীয়তা রাখতে পারেন না
কোনো বন্ধুকে গোপন কথা জানালেন, সে হয়তো অন্য কারো কাছে সেই গোপন কথা বলে দিয়েছে। আপনার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য কিংবা একান্ত গোপনীয় বিষয়টি ইতোমধ্যে সবার আলোচনায় উঠে এসেছে। এমন মানুষ থেকে দূরে থাকুন।
ঈর্ষাপরায়ণ
কেউ যদি আপনার সাফল্যে খুশি হতে না পারে, তাকে চিনে রাখুন। আর সেই মানুষটি থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। পরিবারের সদস্য বা বন্ধুরা দুঃখ-বেদনা ছাড়াও আনন্দ আর সাফল্যের সময় পাশে থাকে। সাফল্যে আনন্দিত হবে। কিন্তু আনন্দিত না হলে যদি উল্টো কটু কথা বলে তার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিন। এ ধরনের মানুষকে এড়িয়ে চলুন।
নেতিবাচক মনোভাব
নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে এমন মানুষ থেকেও দূরে থাকুন। তারা আপনার সব বিষয়ে নেতিবাচক দিক খুঁজতে শুরু করবে। আপনার মনে বিরক্তি সৃষ্টি হবে। তার নেতিবাচক মনোভাব আপনাকেও সংক্রমণ করতে পারে। নিজের মানসিক শান্তির জন্য এসব নেতিবাচক মনোভাব পোষণকারী মানুষদের এড়িয়ে চলুন।
সবজান্তা-সর্বজ্ঞানী
অন্যের মতামতের প্রতি সম্মান আর সহানুভূতি থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এমনও মানুষ রয়েছে যারা শুধু নিজের মতামতই চাপিয়ে দেন, আর অন্যের মতামতকে গুরুত্বই দেন না। অন্যের মতকে অগ্রাহ্য করে কিংবা নানা যুক্তি দিয়ে ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করে। নিজের মতকেই সঠিক বলে চাপিয়ে দেয়। তাদের ধারণা, সব বিষয়ে তারা সব জানে। এমন সবজান্তা আর সর্বজ্ঞানী মানুষ থেকেও দূরে থাকুন।
মিথ্যাবাদী
সম্পর্কে ভুল–বোঝাবুঝি ও সন্দেহের অন্যতম কারণ মিথ্যা বলা। কাছের কোনো বন্ধু যদি নানা বিষয়ে মিথ্যা বলে বিভিন্ন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পায়, তা থেকে আপনিও প্রভাবিত হতে পারেন। সত্যের চেয়ে মিথ্যা বলাটাই মঙ্গল, এমন ধারণা আপনাকে প্রভাবিত করবে। যা আপনার জন্য ক্ষতিকর। এটি আপনার চরিত্রের অবক্ষয় করবে। অন্যের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবেন। তাই যারা মিথ্যা কথা বলে তাদের থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
তথ্যসূত্র: থট ক্যাটালগ