• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাড়ির যেসব স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে জীবাণু


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
বাড়ির যেসব স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে জীবাণু
সূত্র: সংগৃহীত

বাড়ির বিভিন্ন কাজে সারাক্ষণই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে কত কষ্টই না করা হয়। কিন্তু জানেন কি, প্রতিদিনের ব্যবহার করা এসব জিনিস কিংবা স্থানগুলো কতটা নোংরা হচ্ছে। ঘর বাড়ি আনাচে, কানাচে পরিস্কার করছেন। টয়লেট নিয়মিত পরিষ্কার করছেন। তবুও এমন সব জিনিস কিংবা জায়গা রয়েছে, যা অনেক বেশি নোংরা হচ্ছে এবং তা থেকে জীবাণু ছড়াচ্ছে। বলা যায়, বাড়ির বাথরুমের থেকেও বেশি নোংরা সেসব জিনিস, এরপরও আমরা তা নিয়মিত ব্যবহার করেই যাচ্ছি। চলুন জেনে আসি সেই জিনিসগুলো কী কী_

মোবাইল ফোন

প্রতিমুহূর্ত সেই যন্ত্রটি আপনার সঙ্গে দেয়, সেই মোবাইল ফোনটিই সবচয়ে বেশি নোংরা হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান,  টয়লেট সিটের থেকে ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে মোবাইল ফোনে। কারণ আশপাশের  পরিবেশ থেকে হাতে প্রতিনিয়ত জীবাণু জমছে। সেই হাত দিয়ে মোবাইল ফোন ধরা হচ্ছে। তাই জীবাণুগুলো মোবাইল ফোনে জড়ো হচ্ছে।

চপিং বোর্ড

প্রতিদিন রান্নাঘরের কাজে চপিং বোর্ড ব্যবহার হচ্ছে। তাতে বিভিন্ন সবজি কাটা হয়। চপিং বোর্ডে ছুরির আঘাতে গর্ত হতে থাকে। যেখানে জীবাণু জমা হতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানান, টয়লেট সিটের থেকেও প্রায় ২০০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে চপিং বোর্ডে।

পানির কল

বাথরুম বা বেসিনে পানির কল বাড়ির সবাই ব্যবহার করেন। একেক জনের হাতে থাকা জীবাণু সেখানে লেগে যেতে পারে। যা থেকে বিভিন্ন সংক্রমণও ছড়ায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, টয়লেট সিটের থেকে ৪৪ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে পানি কলে।

কিবোর্ড

প্রায় সারাদিনই ল্যাপটপ ও কিবোর্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকছেন। অফিসের কাজ কিংবা গেমিং নিয়ে সময় কাটাচ্চেন। ভেবে দেখেছেন, কীবোর্ড বা ল্যাপটপ ব্যবহারের পর কতবার হাত ধুয়েছেন? সবসময়ে হাত ধোওয়া সম্ভবও নয়। কিন্তু এতে হাতের নোংরা সেখানে জমতে থাকে। ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনার এক গবেষণা অনুযায়ী, কম্পিউটার বা ল্যাপটপের কিবোর্ডের প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ৩ হাজার ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।

মাউস

ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহারের সময় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মাউস। যা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিস্কার করা উচিত। কিন্তু প্রতিদিন কি পরিষ্কার করে কাজে বসা হচ্ছে? ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষণায় জানা যায়, মাউসের প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ১৫০০ ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি রয়েছে।

রিমোট কন্ট্রোল

টেলিভিশন বা এসির রিমোটও কিন্তু নোংরা থাকে। যাতে জীবাণু ভর করে। ইউনিভার্সিটি অফ হুস্টনের গবেষণায় বলা হয়, রিমোটের প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ২০০ ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি রয়েছে।

বাথরুমের দরজার হাতল- পাবলিক বাথরুমের কথা ছেড়েই দিন, আপনার বাড়ির বাথরুমেই একাধিক মানুষের যাতায়াত। আর ততবারই দরজার হাতলে হাত পড়া। কিন্তু আলাদা করে সেই বস্তুটি পরিষ্কার করার কথা মাথায় আসে না কারও। ফলে জীবাণু জমা হতে থাকে দিনের পর দিন।

বাথরুমের দরজার হাতল

বাড়ির বাথরুম একাধিক মানুষ ব্যবহার করে। যারা বাথরুমে যাচ্ছেন, দরজার হাতলে হাত দিচ্ছেন। বাথরুম পরিষ্কার হলেও হাতল কিন্তু আলাদা করে পরিষ্কার করা হয় না। তাই জীবাণু জমতে থাকে।

ফ্রিজের হাতল

ফ্রিজের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। বাড়ির সব সদস্যই ফ্রিজের হাতল ধরছে। কিন্তু কেউ হাত ধুয়ে সাবধানতা অবলম্বন করছে না। তাই একজনের হাতের জীবাণু অন্যজনের হাতে সহজেই লেগে যাচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষণায় জানা যায়, ফ্রিজের হাতলের প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ৫০০ ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

টুথব্রাশ

টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করছেন। কিন্তু এই ব্রাশটি কতটুকু পরিষ্কার তা জানেন? দিনে যতবার দাঁত মাজেন, ততবারই টুথব্রাশ ভেজা থেকে যায়। টুথব্রাশ ও এর হোল্ডারে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস জমতে থাকে। যা হয়তো পরিষ্কারের কথা আমরা ভুলেই যাই।

মাজার স্পঞ্জ

বাসন মাজার জন্য স্পঞ্জ ব্যবহার হচ্ছে। রোজ সাবান দিয়ে বাসন মাজা হয় বলেই যে এটি জীবাণুমুক্ত থাকে তা নয়। বরং এতে আরও বেশি জীবাণু লেগে যায। কারণ সারাক্ষণ ভেজা থাকার ফলে এতে  ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস বাসা বাঁধে। তাই একটি স্পঞ্জ বেশিদিন ব্যবহার করা উচিত নয়।

Link copied!