বাড়ির বাইরে এখন প্রচণ্ড রোদ। রোদের কারণে শরীর যেমন ঘামায়, ত্বকও তৈলাক্ত হয়। ত্বক চিটচিটে বা তৈলাক্ত হওয়ায় বাইরের ধুলো-ময়লা সহজেই ত্বকে আটকে যাচ্ছে। যার কারণে ত্বকে ব্রণ কিংবা বিভিন্ন রকমের সংক্রমণ হচ্ছে। এই সমস্যায় এখন নারী-পুরুষ সবারই হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। বিশেষ করে বাইরে গেলে ত্বকের দিকে বিশেষ নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি।
ত্বকের ধুলো ময়লা প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করতে হবে। ত্বক চিটচিটে বা তৈলাক্ত থাকলেই ময়লা জমতে পারে। তাই এই সময় দুই বেলা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। বাড়ির বাইরে যাওয়ার আগে আর বাইরে থেকে এসে ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। মুখ পরিষ্কার থাকলে ময়লা জমবে না। ব্রণ বা সংক্রমণও হবে না।
বিশেষজ্ঞরা জানান, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল বেইজড ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো হবে। এগুলো লাইট ওয়েট হয়। জেল কনসিসটেন্সির এই ক্লিনজারগুলো স্কিনের এক্সেস সিবাম রিমুভ এবং পোরস ডিপলি ক্লিন করতে সাহায্য করে। এগুলো ত্বককে শুষ্ক করবে না। কিন্তু সিবাম প্রোডাকশন কন্ট্রোল করে। এসব ক্লিনজারের মাইল্ড অ্যাসিডিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রোপার্টিজ স্কিন জেন্টলি এক্সফোলিয়েট করে। যা ত্বকের কোমলতা বজায় রাখে।
এই গরমে বার বার মুখ ধুয়ে নেওয়া জরুরি। দিনে দুই বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া ছাড়াও খালি পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। এতে মুখের তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে। ময়লাও জমবে না।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বেশ কয়েকবার মুখে পানির ঝাপটা দিলে লোমকূপে জমে থাকা তেল, ময়লা বেরিয়ে যাবে। কোষ প্রাণ ফিরে পাবে। তবে স্বাভাবিকভাবে ত্বক যে তেল উৎপন্ন করে, তা ত্বকের ক্ষতির চেয়ে উপকারই করে বেশি। অতিরিক্ত মুখ ধুলে এই তেল কমতে থাকে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় সিবেসিয়াস গ্রন্থি আরও বেশি তেল উৎপন্ন করে। তাই দিনে দুবারের বেশি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত নয়। তবে সাধারণ পানির ঝাপটা কয়েকবার পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে। আবার কাপড় ভিজিয়ে মুখ মুছে নিলেও তৈলাক্ত ভাব কমবে। ত্বকে ময়লা জমবে না।
সাধারণত বাইরে গেলে দূষণের কারণে অনেক ক্ষেত্রে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। তাই বাইরে গেলে যতটা সম্ভব মুখ ঢেকে রাখুন। বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি ত্বকে লাগলে অধিক পরিমাণে তেল ক্ষরণ হয়। তাই যতটা সম্ভব রোদ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।