প্রকৃতিতে শীতের আমেজ। এ সময় থেকে বাতাসে ক্রমশ জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমতে থাকে। তার জেরেই ত্বক ক্রমে শুষ্ক হয়ে যায়। প্রয়োজন বিশেষ যত্নের। কী ভাবে রুক্ষ ত্বকের পরিচর্যা করবেন?
ক্লিনজিং
ত্বকের ধুলো-বালি, তেল-ময়লা ধুয়ে ফেলতে ক্লিনজিং প্রয়োজন। প্রতি দিনই মুখ ধোয়া দরকার। তবে ত্বকে শুষ্কতা বাড়তে থাকলে ক্নিনজিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ময়েশ্চারাইজিং জরুরি। এই সময় শুষ্ক ত্বকের জন্য তৈরি ফেসওয়াশ বেছে নিতে পারেন। কিছু কিছু ফেসওয়াশে এমন উপাদান থাকে, যা ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক হতে দেয় না। ক্লিনজিংয়ের পরেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
আর্দ্রতা
ত্বককে গভীর ভাবে আর্দ্র রাখতে ময়েশ্চারাইজার ছাড়াও ক্রিম বেছে নিতে পারেন। গ্লিসারিন, হাইলুরুনিক অ্যাসিড আছে, এমন কিছু প্রসাধনীও বেছে নিতে পারেন। শীতে ত্বকের যত্নের জন্যেই বিশেষ ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। যা ত্বককে বাড়তি আর্দ্রতা জোগায়।
মাস্ক
ত্বক ভাল রাখতে রাতের পরিচর্যা খুব জরুরি। এই সময় ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং আর্দ্র রাখে, এমন মাস্ক ব্যবহার করা দরকার। ঘুমের আগে এই ধরনের মাস্ক ব্যবহারে ত্বক বাড়তি সুরক্ষা পায় ত্বক। হাইলোরুনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন, সেরামাইডস রয়েছে, এমন কোনো মাস্ক বেছে নিতে পারেন।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড
ত্বকের জৌলুস ফেরাতে শুধু রূপচর্চাই জরুরি নয়, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং শরীরচর্চাও প্রয়োজন। খাবারের তালিকায় রাখতেই হবে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস, বাদাম, আখরোট, পেস্তায় এই উপাদানটি পাওয়া যায়। তা ছাড়া বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছেও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। বিভিন্ন বীজ, যেমন তিল, তিসিতেও থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। প্রতি দিনের ডায়েটে এগুলি রাখা জরুরি।
পানি
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা সমাধানে পানি খাওয়া একান্তই জরুরি। পানি খেলে শরীর ভিতর থেকে আর্দ্র থাকবে। প্রতিদিন একজন সুস্থ এবং প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ২-৩ লিটার পানি খেতে পারেন। পানি ছাড়াও, ফল, স্যুপ খেলে পানির ঘাটতি পূরণ হবে। ফলের তালিকায় রাখতে পারেন শসা, তরমুজ। এ ছাড়াও বিভিন্ন রকমের লেবু শুধু পানির ঘাটতি পূরণ করবে না, এতে থাকা ত্বকের জন্য উপযোগী বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজও শরীরকে জোগাবে।