রমজান মাসে পুরো রাজধানীজুড়ে থাকে উত্তেজনা। ইফতার থেকে শুরু করে সাহরি পর্যন্ত থাকে উত্সবের আমেজ। পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়ে দল বেঁধে ইফতার করতে হোটেলগুলোতে জড়ো হন। তেমনি সাহরির সময়ও জড়ো হচ্ছেন রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে। গভীর রাতে ফাঁকা রাস্তায় বের হওয়া যেন আলাদা আমেজ তৈরি করে। রাজধানীর রেস্তোরাগুলো সারারাত খোলা থাকে। সেখানেও বিক্রি হয় মুখরোচক খাবার। সাহরিতে রেস্তোরায় এতো ভিড় যেন বাংলাদেশের সংস্কৃতির নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে।
তবে এই বছর চিত্রটা একটু ভিন্ন। কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া বেইলি রোডের সেই দুর্ঘটনা যেন পুরো চিত্রই পাল্টে দিয়েছে। বিগত কয়েকবছর ধরে সরগরম থাকা রেস্তোরাগুলো এখন সাহরি সময় অলস সময় পার করছে। কারণ আগের বছরগুলোর মতো ভিড় হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের মধ্যে অজানা এক ভীতি জন্মেছে। যার কারণে সাহরি বা ইফতারে বাইরে যাওয়া মানুষের সংখ্যা এখন খুব অল্প। তবে শুধু আনন্দ থেকে নয়, প্রয়োজনেরও অনেক সময় বাইরে সাহরি করতে হচ্ছে অনেককে। তাই গভীর রাতে বাইরে সাহরি করতে গেলে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
- গভীর রাতে সাহরিতে বাইরে যাবেন, তাই সিকিউরিটির বিষয়টি আগে নিশ্চিত করুন। যেখানে যাবেন সেখানে পরিবেশ কেমন তা আগে জেনে নিন। সাহরির জন্য এমন স্থান নির্বাচন করুন যেখানে অনেক মানুষের সমাগম থাকবে। মানুষের উপস্থিতি কম থাকে এমন স্থানে যাবেন না।h
- সাহরি করতে ঘরের বাইরে গেলে প্রয়োজনীয় জিনিস আগেই সঙ্গে নিয়ে নিন। মোবাইল ফোন, এনআইডি কার্ড সঙ্গে রাখুন। রাস্তায় কোনো ঝামেলা হলে তা কাজে দিবে।
- রেস্তোরার বিল পরিশোধে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন বা ডিজিটাল পেমেন্ট করুন। এতে ক্যাশ টাকা সঙ্গে নেওয়ার ঝামেলা থাকে না।
- যে রেস্তোরায় যাবেন তা আগে থেকে বুকিং করে রাখতে পারেন। সাহরির সময় অনেক ভিড় হয়। আগে থেকে বুকিং না করা হলে অনেক ভিড়ের কারণে বসার জায়গা নাও পেতে পারেন। তাই কজন যাবেন, কখন যাবেন তা রেস্তোরায় আগেই জানিয়ে রাখুন।
- যে রেস্তোরায় যাবেন সেখানের সিকিউরিটির বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। সেখানে সব ধরণের ব্যবস্থা আছে কিনা তাও দেখে নিন।
- রেস্তোরার খাবারের মান কেমন হবে তাও দেখে নেওয়া জরুরি। কারণ সাহরির সময় ভালো খাবার না খেলে সারাদিন রোজা রাখতে কষ্ট হয়।
- রেস্তোরায় যাচ্ছেন তাই পেট ভরে ভারী খাবার খাবেন, তা যেন না হয়। অবশ্যই যতটা প্রয়োজন ততটাই খাবেন। এরবেশি পরিমাণে খেলে অস্বস্তিবোধ হতে পারে।