একটি গাড়ির লাইসেন্স করাতে কত টাকা লাগে- হাজার দশেক থেকে শুরু করে এক লাখ। অথচ দুবাইয়ে একটি বিরল লাইসেন্স প্লেট বিক্রি হয়েছে দেড়শ কোটি টাকারও বেশি দামে। এর মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে দামি লাইসেন্স প্লেটের রেকর্ড গড়েছে সেটি।
গত শনিবার ‘পি ৭’ লাইসেন্স প্লেটটি নিলামে তুলেছিল ‘এমিরেটস অকশন এলএলসি’। শেষপর্যন্ত এটি সাড়ে পাঁচ কোটি দিরহামে কিনে নেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। বাংলাদেশের হিসেবে যার পরিমাণ ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকারও বেশি। যে ধনকুবের লাইসেন্স প্লেটটি কিনেছেন তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি নিলাম সংস্থার পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সিবিএস নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
লাইসেন্স প্লেটটির বৈশিষ্ট্য হলো প্রথম দেখায় শুধু ৭ সংখ্যাটিকেই চোখে পড়ে। ‘পি’ অক্ষরটি একটু পাশে অবস্থিত হওয়ায় এমনটা দেখায়। নিলাম সংস্থা জানিয়েছে, বিক্রির অর্থ দান করা হবে দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদের ‘বৈশ্বিক খাদ্য সহায়তার দাতব্য উদ্যোগ– ওয়ান বিলিয়ন মিলস এন্ডোমেন্ট- এ।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে দাতব্য কাজে বিশেষ নম্বর প্লেটগুলো নিলামে তোলা অনেকটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে অতিধনী ব্যক্তিরা বিপুল টাকা খরচ করে তাদের আত্মমর্যাদাবোধ, সম্পদের বিশালত্ব ও সৌখিন মানসিকতার প্রকাশ ঘটান।
দুবাইয়ে বসবাসকারী ধনাঢ্য ব্যবসায়ী বালভিন্দর সিং সাহানি যিনি আবু সাবাহ নামেই পরিচিত। ২০১৬ সালে তিনি ‘ডি ৫’ লেখা একটি লাইসেন্স প্লেট ৩৩ মিলিয়ন দিরহামে কেনেন।
তিনি বলেন, “স্বর্ণের শহর দুবাই। এ নগরী বড় বড় মানুষের, ধনী ও দিলখোশ মানুষের। তাই সবাই নিজের আভিজাত্যকে তুলে ধরতে চায়। একটি এক সংখ্যার লাইসেন্স প্লেট থাকা আমার স্বপ্ন ছিল। যখন সুযোগ এলো এবং তারা আমাকে বললো, এই অর্থ দাতব্য কাজে যাবে, আমি রাজি হয়ে গেলাম।”
এর আগে আবু ধাবিতে সায়িদ আব্দুল ঘাফফার খৌরি নামে এক ব্যক্তি ২০০৮ সালে বিরল সংখ্যার এক লাইসেন্স প্লেট ৫২ দশমিক ২ মিলিয়ন দিরহামে কিনে রেকর্ড গড়েন। সেই প্লেটে ইংরেজিতে ১ লেখা ছিল। তবে সর্বশেষ এ নিলাম সেই রেকর্ড ভেঙে দিল। মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও চোখ কপালে ওঠানো দামে বিক্রি হয়েছে। যেমন চলতি বছরের শুরুর দিকেই হংকংয়ে এক নিলামে ‘আর (R)’ লেখা একটি লাইসেন্স প্লেট বিক্রি হয় ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারে।