বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য জীবনসঙ্গীর ভালো-মন্দের সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা আবশ্যক। যদি পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তবে বিয়ের আগে আলাপচারিতার সুযোগ কিছু কমই পাওয়া যায়। যারা সম্পর্ক করে বিয়ে করেন তাদেরও মাথায় রাখা প্রয়োজন যে, বিয়ের আগে ও পরের সম্পর্কের ব্যাকরণটা কিন্তু খানিকটা হলেও বদলে যায়। কোনো মানুষের সঙ্গে রোজ কয়েক ঘণ্টার আলাপ আর দিনের পর দিন একসঙ্গে কাটানোর মধ্যে অনেক পার্থক্য। কাজেই বিয়ের আগে একে অপরকে ভালোভাবে জানতে কিছু আলোচনা আবশ্যক।
- বিবাহের সঙ্গে সঙ্গে সন্তান নিতে হবে, এই ধারণা বড্ড সেকেলে। কাজেই সন্তানধারণ নিয়ে হবু জীবনসঙ্গীর কী মতামত, তা আগে থেকেই জেনে নিন। অসম্মতি থাকলে আলোচনা করুন। যৌন সম্পর্কে জড়ানোর আগে সঙ্গী যৌনবাহিত রোগের পরীক্ষা করিয়ে নিতে চান কি-না, সেই বিষয়েও খোলাখুলি কথা বলুন।
- বিয়ে হওয়া মানেই কিন্তু যৌনতায় সম্মতি পাওয়া নয়। কাজেই যৌনজীবন নিয়ে আগেভাগেই আলোচনা করা উচিত। যদি বিবাহের আগে যৌনতার অভিজ্ঞতা না থাকে, তা হলে তো এই আলোচনা অবশ্যই প্রয়োজন। সুস্থ যৌনজীবন সুস্থ দাম্পত্যের চাবিকাঠি। কাজেই এই বিষয় কথা বলতে গিয়ে সঙ্কোচবোধ করলে চলবে না।
- বিয়েতে দু’জন মানুষ ছাড়াও জড়িয়ে থাকে দু’টি পরিবার। দু’জনের পরিবারের সঙ্গে দু’জনের কেমন রসায়ন তা-ও আগে থেকে জেনে নেওয়া ভালো। নিজের পাশাপাশি পরিবারের কিছু চাহিদা থাকে সেই সম্পর্কে আগে থেকেই সঙ্গীকে ধারণা দিয়ে রাখুন।
- বিয়ের আগে আলোচনা করুন সঙ্গীর অর্থনৈতিক দিক নিয়ে। এখন ছেলেমেয়ে দু’জনেই সমানভাবে সংসার খরচের দায়িত্বভার বহন করে। দাম্পত্য জীবনে পরস্পরের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।
- কীভাবে আপনি কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখবেন, সে বিষয় সঙ্গীর সঙ্গে আগেভাগেই আলোচনা করে নিন। অনেক সময়ে কর্মক্ষেত্রে অনেক বেশি সময় কাটাতে হয়; পারিবারিক জীবনে খুব বেশি সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। আপনার ক্ষেত্রে এমনটা হলেও আগে থেকে খোলসা করে নিন। সঙ্গীর বিষয়টাও জেনে নিন।