• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১, ২১ রবিউস সানি ১৪৪৬

‘বিলুপ্ত’ এক মাছের সন্ধান পেল বিজ্ঞানীরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
‘বিলুপ্ত’ এক মাছের সন্ধান পেল বিজ্ঞানীরা
ছবি : সংগৃহীত

প্রায় ১৫ বছর পর কম্বোডিয়ার মেকং নদীতে দেখা মিলল বিরল প্রজাতির এক মাছের। সর্বশেষ ২০০৫ সালে শেষবার দেখা যায় মেকংয়ে। তাই বিজ্ঞানীরা ধরেই নিয়েছিল মাছটির আর হয়ত দেখা পাওয়া যাবে না। সেই বিলুপ্তপ্রায় মাছ ’জায়ান্ট স্যামন কার্প’ ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মেকং নদীতে আরও তিনবার দেখা মিলেছে।

জায়ান্ট স্যামন কার্প মাছকে দানবীয় মাছ বলা হচ্ছে। কারণ এই মাছটি ৪ ফুট পর্যন্ত বড় হতে পারে এবং চোয়ালের কাছটা হুকের মত বাঁকানো। এছাড়া এর চোখের চারপাশে উজ্জ্বল হলুদ রং দেখা যায়। এই মাছ মেকং অঞ্চলের প্রতীক।

বায়োলজিক্যাল কনজারভেশন-এ প্রকাশিত একটি গবেষণার সহ-লেখক চীনা বলেন, ২০০৫ সালে মাছটিকে শেষবারের মতো দেখা যাওয়ার পর, মেকং অঞ্চল থেকে কয়েক দশক ধরে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।

এরই মধ্যে গবেষকরা ২০১৭ সাল থেকে স্থানীয় জেলেদের সাথে যোগাযোগ করেন। তারা জেলেদের অনুরোধ করেন যদি কোনো নতুন বা অস্বাভাবিক মাছ দেখে, তা গবেষকদের জানাতে। এরপর ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কম্বোডিয়ার মেকং নদীতে তিনটি জায়ান্ট স্যামন কার্প এর দেখা মিলে।

ছবি: সংগৃহীত

গবেষকরা বলছেন, মাছটির পাওয়া যাওয়ার ঘটনায় এর ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন আশা তৈরি করেছে। তারা এখন থাইল্যান্ড এবং লাওসের স্থানীয়দের সাথে কাজ করে দেখতে চান, এই মাছগুলো এখনও মেকং নদীর অন্য অংশেও আছে কিনা।

তবে মেকং অঞ্চলের অন্যান্য মাছের জন্যও উদ্বেগ তৈরি করেছে। কারণ মেকং ইকোসিস্টেম পৃথিবীর সবচেয়ে উৎপাদনশীল নদী, প্রতি বছর ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের দুই মিলিয়ন টন মাছ উৎপাদন করে। অথচ এই নদী এবং এর উপনদীগুলোতে ৭০০টিরও বেশি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে, যার ফলে মাছগুলোর চলাচলে বাধা তৈরি হয়েছে। 

Link copied!