• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির যত ফিচার এখন বাংলাদেশে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম
র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির যত ফিচার এখন বাংলাদেশে
ছবি- সংগৃহীত

গত বছর সেপ্টেম্বরে দেশে ৩৭৫ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল (দেশে উৎপাদিত) চালানোর অনুমতি দেয় সরকার। সরকার নীতিমালা শিথিল করায় দেশের বাইকপ্রেমীদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ইফাদ মোটরস নিয়ে আসেন রয়্যাল এনফিল্ড। এই মোটরসাইকেলটি উৎপাদনলগ্ন থেকেই বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়।

মূলত অধিক সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিন, গুণগত মান ও স্টাইলিশ লুকের কারণেই বিশ্বব্যাপী এতো জনপ্রিয় এই মোটরসাইকেলটি। এমনকি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধক্ষেত্রে শক্ত কাঠামো এবং যান্ত্রিক বিশ্বস্ততার জন্য এর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। শত বছর ধরে রাজ করা এই মোটরসাইকেলটি এখন বাংলাদেশের বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশে র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির ইঞ্জিনে বুলেট, ক্লাসিক, মিটিওর ও হান্টার এই ৪টি পাওয়া যাবে। চলুন দেখে নেই, এই চার ধরনের মোটরসাইকেলে কী কী ধরণের ফিচার পাওয়া যাবে-

রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০

ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে মিলিয়ে এনফিল্ড নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এর জন্য ক্লাসিক নামটি বাছাই করেছে। বাতাস চলাচলের মাধ্যমে শীতলীকরণ প্রক্রিয়া সমৃদ্ধ একক সিলিন্ডার ও ৩৪৯ সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিন মোটরসাইকেলটির যাবতীয় যান্ত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে ক্র্যাঙ্ক আর্মের ছয় হাজার ১০০ আরপিএম (রিভোলিউশ্যন পার মিনিট) ঘূর্ণন ক্ষমতা। তার সঙ্গে রয়েছে ২০ দশমিক ২ বিএইচপির (ব্রেক হর্সপাওয়ার) এবং চার হাজার আরপিএমের প্রতি ফুট দূরত্বে সরবরাহ করবে ১৯ পাউন্ড টর্ক।

চলন্ত অবস্থায় সুরক্ষার জন্য সামনে এবং পিছনে এবিসসহ হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক তো থাকছেই।

রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০

ইঞ্জিন ও ক্র্যাঙ্ক শিফটিংয়ে বুলেট ক্লাসিকের মতো হলেও কিছুটা পার্থক্য রয়েছে বুলেটে। এই মোটরসাইকেলটির গতি সামলানোর জন্য ক্র্যাঙ্কটি চার হাজার আরপিএমের প্রতি ফিট দূরত্বে ১৯ দশমিক নয় পাউন্ড টর্ক পাবে। ১৩ লিটার জ্বালানি নিলেই মাইলেজ পাওয়া যাবে ৩০০-এরও বেশি। চালক এবং যাত্রীর আরামের কথা বিবেচনায় মোটা-প্যাডের ৮০৫ মিলিমিটার উঁচু সিট রয়েছে।

রয়্যাল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০

চার মডেলের মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক হচ্ছে হান্টার। ছয় হাজার ১০০ আরপিএমের সঙ্গে ব্রেকিং ক্ষমতা ১৪ দশমিক ৮৭ কিলোওয়াট বা ১৯ দশমিক নয় এইচপি (এক কিলোওয়াট = এক দশমিক তিন হর্সপাওয়ার)। হান্টের সিটের উচ্চতা ৭৯০ মিলিমিটার। বডিতে স্টিলের ফ্রেম এবং সামনের সাস্পেনশনে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনেরটিতে টুইন সাইড সুইং আর্ম।

রয়্যাল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০

অন্যান্য সিরিজগুলোর সঙ্গে খুব একটা প্রার্থক্য নেই এর। ৩৪৯ সিসির একক সিলিন্ডার ইঞ্জিনে অপরিবর্তিত আছে চার হাজার আরপিএমে ২৭ এনএম (নিউটন-মিটার) টর্ক এবং ৬,১০০ আরপিএমে ২০.২ বিএইচপির ক্ষমতা। মিটিওর অনেকটাই অনুসরণ করেছে ক্লাসিক মডেলকে। 
তবে যে বিষয়টি অন্যান্যগুলো থেকে একে আলাদা করেছে, তা হচ্ছে এর আরামদায়ক রাইডিং অভিজ্ঞতা। ইঞ্জিন ও গিয়ারের বোঝাপড়াটা এতটাই সঙ্গতিপূর্ণ যে, গতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেলেও চালক কম্পন অনুভব করবে না। বসার সিটের উচ্চতা ৭৬৪ দশমিক পাঁচ মিলিমিটার।

Link copied!