ছোট মাছ শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বিশেষ করে চোখ ভালো রাখতে ছোট মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ছোট মাছ বললেই কাঁচকি মাছের কথা মনে পড়বে। ছোটরা এই মাছ খেতে না চাইলেও বড়দের কিন্তু ভীষণ প্রিয় এই মাছ। বাঙালিয়ানা রান্নায় কাঁচকি মাছের চচ্চড়ি বেশি রান্না করা হয়। এবার একটু স্বাদ বদলে দেখুন তো। রান্না করে নিন কাঁচকি মাছের টক।
কাঁচকি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা হার্টের জন্য উপকারী। এছাড়াও রয়েছে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, বি থ্রি, সি, ডি। প্রত্যেকটিই সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই খাবারের টেবিলে নিয়মিত কাঁচকি মাছের পদ রাখতেই পারেন। চলুন জেনে আসি কাঁচকি মাছের টক কীভাবে রান্না করা যাবে।
যা যা লাগবে
কাঁচকি মাছ- ২০০ গ্রাম
কাঁচা তেঁতুল- ৪-৫টি
সরিষার তেল- ২ টেবল চামচ
সরিষা-এক চা-চামচ
শুকনো মরিচ-১-২টি
হলুদ গুঁড়ো-২ চা-চামচ
লবণ-স্বাদমতো
যেভাবে বানাবেন
কাঁচকি মাছ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এতে এক চা-চামচ লবণ এবং এক চা-চামচ হলুদ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে এতে সরিষা এবং শুকনো মরিচ ফোড়ন দিয়ে দিন। সুগন্ধ বেরোলে মাছ দিয়ে দিন।
মাছ খুব বেশি কড়া করে ভাজা যাবে না। হালকা ভাজা হয়ে গেলে তাতে কাঁচা তেঁতুল ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরোয় কেটে দিয়ে দিন। এর পরে এক চা-চামচ হলুদ এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিন। হালকাভাবে নাড়াচাড়া করে দেড় কাপ মতো পানি দিন।
টক কতটা রাখতে চাইছেন, তার উপর নির্ভর করবে কতটা পানি দেবেন। এরপর ঢাকা দিয়ে আঁচ কমিয়ে রান্না হতে দিন। ৫ মিনিট পর ঢাকা খুলে আরও এক বার নাড়াচাড়া করে নিন। খানিকক্ষণ ফুটতে দিন। টকের পরিমাণ বুঝে নিয়ে নামিয়ে নিন।