পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ প্লাস্টিক। প্লাস্টিকের ব্যবহার যত বাড়বে, ততই পরিবেশ দূষিত হবে। কারণ এটি পরিবেশে থেকে যায়। যা পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই প্লাস্টিকের বোতল বা পণ্য যততত্র না ফেলার পরামর্শ দেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। তাহলে উপায় কী? প্লাস্টিকের বোতল না ফেলে বরং তা কাজে লাগাতে পারেন। নানা আকার ও রূপ দিয়ে প্লাস্টিকের বোতলকে কাজে লাগাতে পারেন। যা ঘরের সৌন্দর্য্যও বাড়িয়ে দেবে।
· বোতলের উপরে পার্মানেন্ট মার্কারের সাহায্যে বিড়ালের আকৃতি আঁকুন। সেই অনুযায়ী কেটে নিন। সাদা স্প্রে পেইন্টের সাহায্যে রঙ করুন। রঙ করার আগে চারদিক কার্ডবোর্ড দিয়ে ঢেকে নিতে পারেন। কালো মার্কার দিয়ে বিড়ালের মুখাকৃতি নকশা করুন। গোলাপি মার্কার দিয়ে কান ও ঠোঁটের অংশ এঁকে নিন। এবার এর ভেতর মাটি ও পানি দিয়ে পছন্দের গাছ লাগাতে পারেন।
· বোতলের মুখের অংশ আড়াআড়িভাবে একটি দিক কেটে নিন। এর মধ্যেও গাছ লাগিয়ে সাজাতে পারেন। বোতলের গায়ে পছন্দসই রঙ লাগিয়ে নিলেই সুন্দর দেখাবে।
· প্লাস্টিকের বোতলের মাঝ বরাবর কাটুন। এক পাশের অংশ একটু বেশি কাটুন। এবার প্লাগ পয়েন্টের ছিদ্র অনুযায়ী বোতলে ছিদ্র করুন। ছিদ্রের মধ্যে চার্জার ঢুকিয়ে ফোন কেস হিসেবে ব্যবহার করুন। এটি অ্যাক্রেলিক রঙ দিয়েও সাজিয়ে নিতে পারেন।
· প্লাস্টিকের বোতল বিভিন্ন রঙের পাওয়া যায়। বিভিন্ন রঙের প্লাস্টিকের বোতল কালেক্ট করুন। এর মধ্যে ছোট ছোট লাইট ভরে রাখতে পারেন। এগুলো ঘরের ছাদে বা বারান্দায় লাগিয়ে রাখতে পারেন।
· স্বচ্ছ বোতলে গাছ লাগিয়ে ঘরের দেয়ালে সাজিয়ে রাখতে পারেন। বোতলের নিচের অংশে রঙ করুন। এবার পানি ভরে নিন। মানিপ্ল্যান্ট গাছ বোতলে রেখে ঘরের ওয়ালে সাজিয়ে রাখুন। ঘরের সৌন্দর্য বেড়ে যাবে।
· প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাথরুমের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে নিতে পারেন। সুবাসিত শুকনো ফুল ও পাতা দিয়ে বোতল সাজিয়ে বাথরুমে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। সুগন্ধ ছড়াবে।
· প্লাস্টিকের বোতলে কলম দিয়ে দাগ দিন। এরপর ছুরি গরম করে দাগ বরাবর দু’ভাগে কেটে নিন। আঠা দিয়ে এর মাঝে চেন লাগিয়ে নিন। এটি রংপেনসিল বা কলম দানি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
