শেষ হতে যাচ্ছে শীতের মৌসুম। চারপাশে শীতের পিঠা উত্সব কিন্তু থেমে নেই। বরং রাজধানীর এলাকাভিত্তিক আয়োজন হচ্ছে পিঠা উত্সব। শীত চলে গেলে এসব পিঠা উত্সবও শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বাঙালির পিঠা খাওয়ার খায়েশ তো মিটবে না। তাই বাড়িতেই নানা স্বাদের পিঠা তৈরি করার প্রস্তুতি রাখতে পারেন।
অতিথি আপ্যায়নে রাজকীয় কোনো পিঠা বানিয়ে চমকেও দিতে পারেন। ঝটপট বানিয়ে নিতে পারেন মুন্সিগঞ্জ বা বিক্রমপুরের ঐতিহ্যবাজী পিঠা রাজদৌল্লা। রাজকীয় আমেজের সব উপকরণ দিয়ে এই পিঠা বানানো হয় বলে একে রাজদৌল্লা পিঠা বলা হয়। তবে বৃহত্তম মুন্সীগঞ্জ বা বিক্রমপুরের স্থানীয়রা এই পিঠাকে রাজদুলালী বা নবাবনন্দিনী পিঠাও বলে থাকে।
রাজদৌল্লা পিঠা বানাতে যা যা লাগবে
· চালের গুঁড়া- ৩ কাপ
· গুড়- দেড় কাপ
· নারকেল- দেড় কাপ
· ক্ষীরসা বা গুঁড়া দুধ- ১ কাপ
· ঘি- ২ টেবিল চামচ
· বাদাম কুচি- ৩ টেবিল চামচ
· লবণ- এক চিমটি
· আস্ত বাদাম
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে চালের গুড়া একটি পাত্রে নিয়ে নিন। এবার এর সঙ্গে লবণ, গুঁড়া দুধ, গুড়, নারকেল, বাদাম কুচি মিশিয়ে নিন। ধীরে ধীরে মেশান। গুড় ও নারকেল থেকে পানি বের হয়। এই পানিতে যদি খামিরটা ঠিক থাকে অর্থাত্ মুঠো করলে জমাট বাঁধছে তাহলে অতিরিক্ত পানি দিতে হবে না। তবে যদি মুঠো করলে জমাট না বাধে কিংবা বেশি শুকনা থাকে তবে সামান্য তরল দুধ চা চামচের সাহায্য অল্প অল্প করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখুন, পিঠার মিশ্রণটা সামান্য ভেজা থাকবে এবং ঝুরঝুরেও হতে হবে।
এবার হাতে সামান্য ঘি মাখিয়ে নিন। এরপর পিঠার মিশ্রণ থেকে সামান্য পরিমাণ নিয়ে পছন্দ মতো আকৃতি দিন। ডিজাইন করতে ছাঁচও ব্যবহার করতে পারেন। সবগুলো পিঠা তৈরি করুন। এবার প্রত্যেকটি পিঠার ওপরে বাদাম দিয়ে সাজিয়ে নিন।
এবার পরিষ্কার একটা সুতি কাপড়ের ওপর পিঠা দিয়ে ভাপ দিন। অনেকটা ভাপা পিঠার মতোই এই পিঠা ভাপে রান্না করুন। ১৫ মিনিট পর নামিয়ে পরিবেশন করুন।