গরমে টক খাবার খেতে ভালোই লাগে। আর গ্রীষ্মকালে টক মানেই কাঁচা আম। বৈশাখের শুরুতেই কাঁচা আমের সয়লাব থাকে বাজারজুড়ে। তাই তো এই সময় বাড়িতে বাড়িতে কাঁচা আমের নানা পদ রান্না হয়। কাঁচা আম দিয়ে এবার গরমের আরও এক ফল কাঁচা কাঠাল বা এচোড় রান্না করে খেয়েছেন? এই সময় বাজারে কাঁচা আমের সঙ্গে এঁচোড়ের দেখাও মিলবে। ছোট কাঁচা কাঠালকেই এচোড় বলে। যা সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। বিশেষ করে গরুর মাংসে এঁচোড় খেতে বেশ সুস্বাদু। তবে গরমে মাংসের পদ খাওয়া ঠিক হবে না। তাই কাঁচা আমের সঙ্গে এচোড়ের কালিয়া রান্না করে খেতে পারেন। বাড়িতে দুপুরের খাবারের আয়োজনে বানিয়ে নিতে পারেন কাঁচা আম এঁচোড়ের কালিয়া। চলুন জেনে আসি কীভাবে বানানো যাবে এই খাবারটি।
যা যা লাগবে
- কাঁচা আম- ১টি মাঝারি
- এঁচোড়- ৫০০ গ্রাম
- জিরা- আধ চা চামচ
- তেজপাতা-
- শুকনো মরিচ- ১টি
- ছোট এলাচ-২টি
- পেঁয়াজ কুচি
- আদা ও জিরে বাটা-১ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ
- জিরা গুঁড়ো-১ চা চামচ
- মরিচ গুঁড়ো- আধ চা চামচ
- ধনে গুঁড়ো- আধ চা চামচ
- টমেটো কুচি- আধ কাপ
- ঘি- ১ চা চামচ
- গরম মশলা গুঁড়ো- আধ চা চামচ
- চিনি- ১ চা চামচ
- লবণ- স্বাদ অনুযায়ী
যেভাবে বানাবেন
এঁচোড়ের খোসা ছাড়িয়ে ছোট করে কেটে নিন। এরপর এটি লবণ ও হলুদ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর প্রেশার কুকারে এঁচোড় সেদ্ধ করে নিতে পারেন। এদিকে কাঁচা আম খোসা ছাড়িয়ে পাতলা করে কেটে রাখুন।
কড়াইতে সরিষার তেল গরম করে জিরা, তেজপাতা, ছোট এলাচ এবং শুকনো মরিচের ফোড়ন দিন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিন। কিছুক্ষণ ভাজুন। এবার এর মধ্যে আদা, জিরা বাটা দিন। এরপর গরম মশলা বাদে সব রকম গুঁড়ো মশলা দিয়ে দিন। টমেটো কুচিও দিয়ে দিন। কষিয়ে নিন। তেল ছেড়ে উপরে উঠে এলে আমের কুচি দিন। সামান্য পানি দিয়ে সেদ্ধ করুন। আম একটু নরম হলে সেদ্ধ করা এঁচোড় দিন। এরপর লবণ ও চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়ুন। একটু পানি দিয়ে দিন। ঝোল ঘন হয়ে এলে ঘি, গরমমশলা ছড়িয়ে দিন। তৈরি হয়ে যাবে কাঁচা আমের এঁচোড় কালিয়া। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।