প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বৃষ্টি যেন স্বস্তি দিচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে আগামৗ কয়েকদিন বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাবে। রাতে, দিনে কিছুক্ষণ পরপরই বৃষ্টি হচ্ছে। যদিও বর্ষাকালে এটি নিত্যদিনের চিত্র। বাড়িতে বসে বৃষ্টি উপভোগ করতে ভালোই লাগে। কিন্তু বাইরে বের হতে গেলেই বিপত্তি। স্কুলে, কলেজে কিংবা অফিস আদালতে যাওয়ার পথে হঠাত্ বৃষ্টি নামতে পারে। তখন মাথা গোজার ঠাঁইও পাওয়া যায় না। আবার সময়মতো কর্মস্থলে যাওয়াও তাড়া থাকে। তাই বৃষ্টির মধ্যেই গন্তব্যে ছুটতে হয়।
বর্ষা মৌসুমে পথে ঘাটে বৃষ্টিতে ভেজা থেকে রেহাই দিতে ব্যবহার হয় ছাতা। অনেকে আবার রেইনকোর্টও ব্যবহার করেন। এই দুটোই যেন বর্ষায় নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠে। তবে ছাতা না রেইনকোট কোনটিতে বেশি সুবিধে পাওয়া যায় জানেন কি?
বর্ষা মৌসুমকে মাথায় রেখেই বিভিন্ন ডিজাইন আর কোয়ালিটির ছাতা ও রেইনকোর্ট বাজারে পাওয়া যায়। কোয়ালিটির উপর ভিত্তি করে এগুলো দামও ভিন্ন হয়। তবে দাম বেশি হলেই যে আরাম পাওয়া যাবে তাও কিন্তু নয়। সুবিধে অনুযায়ীই একেকজন একেকটা ব্যবহার করে থাকেন। যেমন_
· যারা ছাতা খুলতে আর লাগাতে হিমশিম খান। তারা রেইনকোর্ট ব্যবহার করেন। ছাতা বহন করাও অনেকের কাছে বিরক্তিকর। তারাও রেইনকোর্ট ব্যবহার করে থাকেন।
· ছাতা তুলনামূলক ভারী হয়। যা ব্যাগে বহন করা কষ্টকর হতে পারে। অন্যদিকে রেইনকোর্টের তেমন ওজন থাকে না। আবার এটি ভাঁজ করে ব্যাগের কোণে গুজে রাখা যায় সহজেই।
· রেইনকোট দিয়ে পুরো শরীরে অধিকাংশই ঢেকে নেওয়া যায়। যা ছাতা দিয়ে সম্ভব হয় না। ভালো মানের রেইনকোটগুলো পা অবদি ঢেকে দেয়। কিন্তু ভালো মানের ছাতা দিয়ে শুরু মাথার উপরেই কাভার করা যায়। বৃষ্টির পানির ছিটে পুরো শরীরকে ভিজিয়ে দিতে পারে।
· কাছাকাছি কোথাও যেতে ছাতা ব্যবহার বেশি সুবিধে হয়। ছাতা সহজেই হাতে করে বেরিয়ে পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে রেইনকোটে নিজেকে আবৃত করা বেশি সময়ের ব্যাপার। কিন্তু দূরে কোথাও যেতে হলে রেইনকোটই বেশি সুরক্ষা দেবে।
· অনেকের কাছে পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে ছাতা বা রেইনকোট ব্যবহার করতে ভালো লাগে। এক্ষেত্রে রেইনকোটের নানা রং ও ডিজাইন বাজারে পাওয়া যায়। যা সহজেই পোশাকের সঙ্গে মানানসই হয়ে যায়।
· কম বাজেটের মধ্যেও ছাতা পাওয়া যায়। কিন্তু রেইনকোট কিনতে হলে একটু বেশি বাজেট রাখতে হয়। ভালো মানের রেইনকোট কিনতে ৬০০-২০০০ টাকার বাজেট রাখতে হবে। অন্যদিকে ছাতা কেনা যাবে ২৫০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যেই।