শীতের দূষিত বায়ূর প্রভাব ত্বকে বেশ খারাপ ভাবেই পড়ে। এতে ত্বক হয়ে উঠে রুক্ষ ও শুষ্ক। তাই শীতে ত্বককে দূষিত বায়ূর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করা জরুরি। এক্ষেত্রে কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। যেমন-
ডাবল ক্লিনজিং
ত্বকের যত্নের প্রথম ও প্রধান ধাপ হলো ত্বক পরিষ্কার রাখা। ত্বকের মধ্যে জমে থাকা তেল, ময়লা, জীবাণু দূর করতে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করা খুবই জরুরি। এ ক্ষেত্রে ডাবল ক্লিনজিং বেশ উপকারী। ডাবল ক্লিনজিং করার জন্য প্রথমে একবার অয়েল বেজড ক্লিনজার দিয়ে মুখের ওপর জমে থাকা ময়লা তুলে ফেলা হয়। শুধু ফেসওয়াশের সাহায্যে এগুলো সহজে পরিষ্কার হয় না। তারপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী ওয়াটার বেজড বা ফোম বেজড ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করা হয়।
এক্সফোলিয়েটিং
ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করে ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে এক্সফোলিয়েটিং করা গুরুত্বপূর্ণ। দুই ধরনের এক্সফোলিয়েশন আছে, ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল। ত্বকে দূষণের প্রভাবের উপর নির্ভর করবে কোন ধরণের এক্সফোলিয়েটিং করা হবে। যদি ত্বকে দূষণের প্রভাব কম হয় তাহলে বাড়িতেই বানিয়ে ফিজিক্যাল এক্সফোলিয়েশন করতে পারে। আর যদি ত্বক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রুক্ষ ও শুষ্ক হয় তাহলে কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েশন করতে হবে।
অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট
দূষণের ফলে আমাদের স্কিন ব্যারিয়ার দুর্বল হয়ে যায়। এমনকি ত্বকের কোলাজেনও ভেঙে যায়। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে, এছাড়া দাগছোপ, রিংকেলের সমস্যা তো আছেই। এ জন্য ত্বকের যত্নে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট যোগ করতে হবে। এটি ফ্রি র্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করে, এর হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং সেই সঙ্গে দূষণজনিত কারণে হওয়া ড্যামেজ সারিয়ে তোলে। তাই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।
সানস্ক্রিন
শীত এলেই অনেকে সানস্ক্রিন দেওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু শীতেও সানস্ক্রিন দেওয়া জরুরি। কারণ শীতের রোদ নরম হলেও বেশি সময় ধরে রোদে থাকলে তা ত্বকের জন্য ক্ষতি করে।