• ঢাকা
  • সোমবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খাবার স্যালাইন তৈরির সঠিক নিয়ম


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩, ১০:০০ এএম
খাবার স্যালাইন তৈরির সঠিক নিয়ম

ডায়রিয়া এবং বমি থেকে পানিশূন্যতা দেখা দেয় শরীরে। এ রকম পরিস্থিতিতে খাবার স্যালাইন পান করাটাই সবচেয়ে উত্তম। শরীরে প্রয়োজনীয় তরল পৌঁছে দিতে সাহায্য করে স্যালাইন। 

পানিশূন্যতা রোধের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ তরলজাতীয় খাবার খেলেই ডায়রিয়া সেরে যায়। বাজারে যে স্যালাইন পাওয়া যায় সেটা হলো শরীরের জন্য জরুরি কিছু লবণের শুকনা মিশ্রণ, যেটাকে বিশুদ্ধ পানির সঙ্গ মিশিয়ে খেতে হয়। 

যেহেতু স্যালাইন শরীরের পানি ও লবণের ঘাটতি পূরণ করে, তাই এটি পরিমাণে সঠিক  হওয়া খুবই জরুরি। তা না হলে ওরস্যালাইন শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

প্যাকেটজাত স্যালাইন তৈরি নিয়ম

প্রথমে অবশ্যই দুই হাত, পাত্র ও চামচ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবার পাত্রে ২ পোয়া বা আধা লিটার বিশুদ্ধ পানি নিতে হবে। তাতে প্যাকেটের পুরো মিশ্রণটিই ঢেলে দিয়ে পরিষ্কার চামচের সাহায্যে মিশ্রণ ও পানি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজন অনুযায়ী ডায়রিয়া ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত খাওয়াতে থাকুন।

সতর্কতা 

  • পানির পরিমাণ কমবেশি করা যাবে না। তাহলে কোনো ফলাফল পাওয়া যাবে না। উল্টে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
  • কোনোভাবেই স্যালাইনে পানি ছাড়া অন্য কিছু যেমন দুধ, স্যুপ বা ফলের জ্যুস বা সফট ড্রিংকসও মেশানো যাবে না। এমনকি চিনিও মেশানো যাবে না।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে স্যালাইন কাপে করে খাওয়ানোই ভালো।
  • গরম পানিতে স্যালাইন বানানো যাবে না। স্যালাইনের পানিও গরম করা যাবে না।
  • বানানোর পর ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্যালাইন ভালো থাকে। অর্থাৎ বানানোর ১২ ঘণ্টা পর আর সেই স্যালাইন খাওয়া যাবে না, সেটি ফেলে দিতে হবে।


ঘরে স্যালাইন তৈরির নিয়ম

জরুরি অবস্থায় প্যাকেটজাত খাবার স্যালাইন হাতের কাছে না পেলে সেক্ষেত্রে ঘরেই স্যালাইন বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এ জন্য লাগবে চিনি, লবণ ও পানি। ৬ চামচ চিনি ও আধা চামচ লবণ ১ লিটার বিশুদ্ধ পানিতে ভালোভাবে গুলে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে স্যালাইন।

 

তৈরির ক্ষেত্রে সতর্কতা

  • স্যালাইন তৈরির সময় উপাদানে কম বেশি করা যাবে না। চিনির পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে ডায়রিয়া বেড়ে যেতে পারে, আবার অতিরিক্ত লবণ শিশুর মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
  • অবশ্যই ঘরে তৈরি স্যালাইন ৬ ঘণ্টার মধ্যেই পান করতে হবে। ৬ ঘণ্টা পর সেটি ফেলে দিতে হবে।
  • হাতে বানানো স্যালাইনের ক্ষেত্রে পানি ১ লিটারের চাইতে সামান্য বেশি ব্যবহার করলেও সমস্যা নেই। 
  • বাজারে অনেক ধরনের ফ্লেভার মিশ্রিত স্যালাইন পাওয়া যায়। ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসায় এসব ফ্লেভার মিশ্রিত স্যালাইন খেলে ক্ষতি বেশি করতে পারে।
Link copied!