সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই গড়ে তোলেন বাবা মা। নিজেদের সব শখ যেন সন্তানকে দিয়েই পূরণ করেন। সন্তান একটু বড় হলেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়। পাশাপাশি নাচ,গান, কবিতা আবৃতি, ড্রইংও শিখতে দেন। যেকোন শিক্ষাই ছোটবেলা থেকে শুরু করলে তা ভালোভাবে শেখা যায়। কারণ ছোট বয়সে যেকোনো বিষয় খুব তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করতে পারে।
অনেকে শখ করে গান শেখেন। ছোটবেলা থেকেই গান শেখা শুরু করতে হয়। আবার বড় হয়েও গান শিখতে পারেন। তবে গান শেখার চেষ্টা করার আগে কিছু মৌলিক বিষয় আয়ত্ত করতে হয়। নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
সঠিক ভঙ্গি
গান গাওয়ার আগে সঠিক ভঙ্গি শিখতে হবে। পিঠ সোজা রাখা, দাঁড়ানো বা বসা, পা সমান্তরাল থাকতে হবে, কাঁধ প্রশস্ত হতে হবে এবং পা মেঝেতে রাখতে হবে। পিঠ সোজা থাকলে বুক খোলা থাকে এবং তা ফুসফুসকে অক্সিজেন দেয়।
শ্বাস প্রশ্বাস
ভালো গাইতে চাইলে শ্বাস প্রশ্বাসের সঠিক ব্যবহারও জানতে হবে। কণ্ঠস্বরকে বায়ুর যন্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সঠিক শ্বাস-প্রশ্বাস গানের ৮০ শতাংশ তৈরি করে দেয়। ধীর এবং গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে। শ্বাস নেওয়া এবং শ্বাস ফেলা, পেটের পেশীগুলোকে উদ্দীপিত করে। তাই এই কৌশলটি আয়ত্ত করতে হবে।
শ্রবণ দক্ষতা
গান শিখতে হলে অবশ্যই গান শুনতে হবে। এটি সঠিক উচ্চারণ ও সুরের বিকাশ ঘটায়। শ্রবণ দক্ষতাকে প্রয়োগ করুন। এতে আপনার প্রাথমিক বাধাগুলো কাটিয়ে উঠবেন। কণ্ঠের প্রশিক্ষণ, কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় করলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অভিজ্ঞ কারো গান শুনুন। আবার নিজের গাওয়া গান রেকর্ড করুন এবং শুনুন। সেখান থেকে আপনার ভুলগুলো ধরতে পারবেন এবং আরও ভালো করে গান গাওয়ার উত্সাহ পাবেন।
সময় নেওয়া
গান শেখার জন্য তাড়াহুড়ো করা যাবে না। ধীরে ধীরে লক্ষ্য অর্জনের পথে এগুতে হবে। অধ্যবসায় করুন। ধীরে ধীরে গান শিখুন। গান শেখার শুরুতেই কণ্ঠকে বেশি চাপ দেবেন না। বরং ওয়ার্ম-আপ করুন। এটি গান শেখার প্রস্তুতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়।