সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। রমজান মাসের চাঁদ দেখার পরই সাহরি খেয়ে রোজা রাখবেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। পুরো রমজান মাস রোজা রাখবেন এবং সিয়াম সাধনা করবেন। পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার মধ্যেও ফজিলত রয়েছে। সেই চাঁদ দেখে দোয়াও করতে হয়।
আরবিতে নতুন চাঁদকে বলা হয় ‘হিলাল’। এর অর্থ হলো এক থেকে তিন তারিখের চাঁদ। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যে দোয়া পড়তেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমদেরও রমজানের নতুন চাঁদ দেখে সেই দোয়া পড়তে হয়। এই দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট শান্তি ও নিরাপত্তার প্রার্থনা করা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো, চাঁদ দেখে রোজা ছাড়ো, ইফতার করো বা ঈদ করো।’
রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসের ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় আকাশে রমজানের চাঁদ অনুসন্ধান করতেন। তিনি সাহাবিদেরও চাঁদ দেখতে বলতেন। রমজানের নতুন চাঁদ দেখলে প্রিয় নবী (সা.) কল্যাণ ও বরকতের দোয়া করতেন।
হাদিসে বর্ণিত রয়েছে -হজরত তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন রমজানের নতুন চাঁদ দেখতেন তখন বলতেন-
উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ইমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় কর। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তৌফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
এছাড়াও যে কোনো মাসের নতুন চাঁদ, রোজা ও ঈদের চাঁদ দেখার পর হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়তেন—
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল-য়ুমনি ওয়াল ঈমানি, ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি- রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য এই চাঁদকে সৌভাগ্য ও ইমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন।আল্লাহই আমার ও তোমার রব। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৫১)
শুধু তাই নয়, যারা রমজানের চাঁদ দেখার সুযোগ পান না, কিন্তু চাঁদ ওঠার খবর শুনেছেন তাদেরকেও এই দোয়া পড়তে হবে_
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লিমনি লিরমাদান, ওয়া সাল্লিম রামাদানা লি, ওয়া তাসলিমাহু মিন্নি মুতাক্বাব্বিলা। (তাবারানি)
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে শান্তিময় রমজান দান করুন। রমজানকে আমার জন্য শান্তিময় করুন। রমজানের শান্তিও আমার জন্য কবুল করুন।