অনেকেই আছেন সময়ের কাজ সময়ে করতে পারেন না। ঘড়ি ধরে সময়মতো কাজ করা যেন কোনোভাবেই হয়ে উঠে না। অফিস বা কর্মস্থলে পৌছানো, সন্তানকে স্কুলে পৌছানো, দাওয়াতে যাওয়া, এমনকি ঘুরতে গিয়েও সময়মতো সব জায়গায় যেতে হিমশিম খেতে হয়। সময়ের গুরুত্ব বোঝেন না বলেই গুছিয়ে কাজ করতে পারেন না। সময়মতো কোনো কাজই করা হয় না। এমন মানুষের পরিকল্পনা করেও কোনো কাজে সফলতা মেলে না। কারণ সময় পেরিয়ে গেলে লক্ষ্য অর্জনের সুযোগও থাকে না। তাই সময়ের কাজ সময়ে করার জন্য় কিছু অভ্যাস রপ্ত করা প্রয়োজন। চলুন জেনে নেই কীভাবে সময়ের কাজ সময়ে করা যাবে।
· প্রথমেই সময়ের গুরুত্ব বুঝতে হবে। কোন কাজে কত সময় দেওয়া প্রয়োজন তা বুঝেই কাজ করতে হবে। যে কাজ আগে করা প্রয়োজন তা আগে সেরে নিতে হবে। কম গুরুত্বপূর্ণ কাজটি পরে করলেও চলবে।
· যারা সময়মতো কাজ করতে পারেন না তা প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ করবেন। বরাদ্দ সময়ের মধ্যেই কাজ গুছিয়ে নেবেন। অনেক কাজ একসঙ্গে করতে গেলে ঝামেলা লেগে যেতে পারে। তাই সব কাজ একসঙ্গে করার চেষ্টাও করবেন না।
· কাজ শুরু করার আগে পরিকল্পনা করে নিন। অফিসে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে ঘুম থেকে উঠে পড়ুন। রাতে দেরিতে ঘুমালে সকালে উঠতে দেরি হয়। তাই ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে একটু তাড়াতাড়ি উঠুন। যদি বাড়ির কাজ শেষ করে অফিসের জন্য বের হতে হয় তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগেই ঘুম থেকে উঠুন।
· ডায়েরি লেখার অভ্যাস করতে পারেন। এতে পুরোনো কাজগুলো মনে থাকবে। কোথায় কোন কাজটি সময়মতো করা হয়নি তাও ডায়েরিতে লিখে রাখুন। যা দেখে ভবিষ্যতে নিজেকে শুধরে নিতে পারবেন। তাছাড়া কোন কাজটি আগে আর কোনটি পরে করবেন তাও ডায়েরিতে লিখে রাখা যাবে।
· প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করতে হবে। কোনো কাজ ফেলে রাখা যাবে না। কাজ শুরু করলে তা শেষ করতেই হবে। সময় নষ্ট না করে কাজকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিতে পারেন।
· মনকে শান্ত রেখে কাজ করুন। অতিরিক্ত উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা থাকলে কাজ ভালো হয় না। রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। সকালে উঠতে দেরী হয়। আর সব কাজেও দেরী হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন সময়মতো উঠুন। মনকে স্থির রাখুন।
· প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন। নিজের শরীর ও মন দুটোই চাঙ্গা হবে। সকালে কিংবা রাতে যখনই সময় পাবেন হালকা ব্যায়াম করুন। চেষ্টা করবেন, সকালে শরীরচর্চা করতে। এতে সারাদিনের কাজের শক্তি পাবেন।