• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাবা-মায়ের যেসব ভুলে শিশুরা ‘অনিশ্চয়তায়’ ভোগে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
বাবা-মায়ের যেসব ভুলে শিশুরা ‘অনিশ্চয়তায়’ ভোগে
বাচ্চার ভালো লাগার বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। ছবি : সংগৃহীত

শিশুরা সংবেদনশীল হয়। তাদের যত্ন করা এবং ভালো মানুষ করে গড়ে তোলা বাবা-মায়ের দায়িত্ব। সব অভিভাবকই সেই চেষ্টা করেন। তবে শিশুদের লালন-পালনে সামান্য ভুল হলেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যা শিশুর ভবিষ্যতকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, বাচ্চাদের সঙ্গে কর্কশ ব্যবহার, তাদের প্রতি অমনোযোগী হওয়া একদমই ঠিক না। এ কারণে তাদের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তায় দিকে যেতে পারে। শিশুদের ব্যক্তিত্বের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রমাণ হয়েছে, অধিকাংশ শিশুই পরিণত বয়স হলেও সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা যায়। তাই বাবা-মায়ের সেসব ‘ভুল’ আচরণ চিহ্নিত করে শুধরে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

বাচ্চার কথা না শোনা

বাচ্চারা কৌতুহলী হয়। তারা তুখোড় পর্যবেক্ষকও। যেকোনো বিষয়ে কৌতূহলের সঙ্গে জানতে চায় কিংবা তা নিয়ে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে বাবা মাকে। প্রায় অধিকাংশ বাচ্চাই এমনটা করে। কিন্তু অভিভাবকরা বাচ্চাদের এমন অভ্যাস প্রথমে উপভোগ করলেও পরবর্তী সময়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন। অনেক অভিভাবক তো ব্যস্ততার অজুহাতে কোনো কথাই শুনতে চান না। বাচ্চা কিছু বলতে নিলেই তাকে চুপ করিয়ে দেন। এমনকি কেউ কেউ তো বাচ্চার ওপর রেগেও যান। এমন আচরণ বাচ্চাদের ওপর সাংঘাতিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার পেছনে এটি বড় বাধা হয়।

বাচ্চার মন খারাপের সময়

বাচ্চাদের মন অল্পতেই খারাপ হতে পারে। যেকোনো কিছু নিয়েই হঠাৎ কষ্ট পেতে পারে। কোনো কাজে ব্যর্থ হলে তারা নিরাশও হতে পারে। এমন প্রতিক্রিয়া বাচ্চাদের ওপর আরও গুরুতর প্রভাব ফেলে। এই সময় বাচ্চাদের সময় দিন। মন খারাপের কারণ জেনে বাচ্চাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতে হবে। বাচ্চার ভালো লাগার বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে।

তুলনা নয়

অনেকেই বাচ্চাকে সমবয়সী অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে তুলনা করেন। এটাও অভিভাবকদের অন্যতম একটি ভুল। বাচ্চা কোনো কাজে অসফল হলে বা সমবয়সীদের তুলনায় ভালোভাবে করতে না পারলে অনেকে বকাও দেন। এটি বাচ্চার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে বাচ্চা নিজেকে শুধরে নেবে না, বরং হিতে বিপরীত হবে। তাই এমন ভুল করা যাবে না।

ভুল শুধরানো

বাচ্চারা ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। ভুল শুধরে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া কিংবা সঠিক রাস্তা দেখানো বাবা-মায়ের দায়িত্ব। কিন্তু অভিভাবকরা যদি বাচ্চার ভুলের কারণে তাকে বকা দেন কিংবা মারধর করেন তবে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়।

দায়িত্ব না দেওয়া

ছোটরা কিছু পারে না—এ কথাটা কখনোই বলবেন না। বরং ছোটদের দায়িত্ব দিন। বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে হলে তাদের দায়িত্বশীল করে গড়ে তুলতে হবে। যেকোনো সিদ্ধান্তে তাদের মতামত নিন। এতে তারা অল্প বয়সেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া শিখবে। ভবিষ্যতে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে।

Link copied!