বাদাম খেতে দারুন মজা। মজার এই খাবারটি ত্বকের যত্নেও অসাধারণ ভূমিকা রাখে। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক তেল, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকের পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। বাদাম দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করা যায়। বিশেষ করে বাদাম দিয়ে বিভিন্ন প্যাক বানিয়ে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। বাদামের প্যাক ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। সেই সঙ্গে ত্বকও কোমলতা পায়।
বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এসব উপাদান ত্বককে পুষ্টি দেয়। তারুণ্য বজায় থাকে। ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। বয়সের ছাপও কমায়। এছাড়াও বাদামে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ত্বককে মসৃণ এবং কোমল করে। চলুন জেনে নেই কীভাবে ত্বকের যত্নে বাদামের প্যাক ব্যবহার করা যাবে।
বাদামের তেল
বাদামের তেল ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত সবচেয়ে জনপ্রিয় উপাদানগুলোর একটি। এটি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে আর্দ্রতা দেয়। ত্বককে মোলায়েম ও কোমল রাখে। রাতে ঘুমানোর আগে মুখে কয়েক ফোঁটা বাদামের তেল ম্যাসাজ করুন। ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল দেখাবে। এটি ত্বকের বলিরেখা এবং বয়সের ছাপ কমাতেও সহায়ক।
বাদাম এবং মধুর মিশ্রণ
বদাম গুঁড়ো করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি মুখে এবং গলায় মেখে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে নরম ও মসৃণ করবে। ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করবে।
বাদাম এবং দুধের ফেসপ্যাক
কয়েকটি বাদাম সারারাত দুধে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বাদামগুলো পেস্ট করে এর সঙ্গে আরও কিছু দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করবে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
বাদাম এবং ওটমিল স্ক্রাব
বাদাম এবং ওটমিল স্ক্রাব ত্বকের ময়লা, তেল এবং মৃত কোষ দূর করে। কয়েকটি বাদাম এবং ওটমিল একসঙ্গে পেস্ট করে নিন। এতে সামান্য দুধ বা গোলাপ জল মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন। এটি মুখে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই স্ক্রাবটি ত্বককে মসৃণ এবং কোমল করবে।
ত্বকে নতুন কোনো উপাদান ব্যবহার করার আগে একটি প্যাচ টেস্ট করা উচিত। কারণ কিছু মানুষের ত্বকে বাদামের প্রতি সংবেদনশীলতা থাকতে পারে।