বিয়ের পর সন্তান ধারণে কত বাবা মায়েরই আকাঙ্ক্ষা থাকে। নি:সন্তান দম্পতির যেন কষ্টের সীমা নেই। কিন্তু সন্তান ধারণের ক্ষমতা থাকা স্বত্তেও যারা সন্তান জন্মে আগ্রহী নন, তাদের খবর শুনলে অবাকই হবেন। বিশ্বের বুকে এমন মানুষ রয়েছে যারা সন্তান লালন পালনের চেয়ে কোনো পোষ্যকে লালন-পালনই সেরা মনে করেন। এমনই জনগোষ্ঠির বসবাস দক্ষিণ কোরিয়ায়।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের রীতিনীতি, আইন, চিন্তাভাবনায় অনেকটাই ভিন্ন দক্ষিণ কোরিয়া। এখানকার নারীদের মধ্যে সন্তানধারণের প্রবণতা কমে যাচ্ছে। তাই জন্মহারও কমে গেছে। জনসংখ্যা কমে যাওয়ার খবর ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনামে চলে এসেছে।
সেই দেশে সন্তান জন্মের চেয়ে পোষ্যদের লালন পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম অপারেটর জিমার্কেট থেকে জানায়, ২০২৩ সালে পোষ্যদের জন্য ৫৭ শতাংশ স্ট্রোলার বিক্রি হয়েছে। যেখানে শিশুদের জন্য স্ট্রোলার বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪৩ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সূত্র মতে, ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার শিশুদের জন্মহার নেমে গিয়েছে ০.৭৮ শতাংশে। অন্যদিকে ২০১২ সালে যেখানে ৩৬ লাখ পরিবারে পোষ্য লালন পালন হতো। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখে।
এদিকে জন্মহারের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ের প্রবণতাও কমেছে। যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সে দেশের সরকার। বিয়ে এবং সন্তান জন্মধারণের বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে নানা সুযোগ সুবিধার কথা বলছে দেশটির সরকার।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়েল দেশটির নিম্ন জন্মহারকে ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। জন্মহার বাড়াতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কিমের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নবাগত সন্তানের অভিভাবকদের আর্থিক সাহায্য ও করছাড়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট