চুলের রুক্ষতা সব সৌন্দর্য্যকেই নষ্ট করে দেয়। এই ধরণের চুলে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার করা অত্যন্ত জরুরি। তবুও অনেকের চুলের কোমলতা ফিরে না। বরং কিছুক্ষণের জন্য ঠিক হলেও, পরে আবার চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই রুক্ষতা দূর করতে চুলে সিরাম ব্যবহার করা জরুরি। সিরাম চুলকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। চুলকে নিস্তেজ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
চুলে আর্দ্রতা ঠিক রাখতে কাজ করে সিরাম। বিশেষ করে সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। তবে চুলের উপকার পেতে সঠিক সিরামটি বেছে নিতে হবে। কোন ধরনের চুলে কেমন হেয়ার সিরাম ব্যবহার করতে হবে তা অনেকেই জানেন না। তাই সিরাম ব্যবহার করেও ভালো ফল পান না অনেকেই। সঠিক সিরাম চুলের সঠিক উজ্জ্বলতা ফেরাবে। চুলকে প্রাণবন্ত করবে।
সাধারণত তিন ধরনের হেয়ার সিরাম পাওয়া যায়। পানি ভিত্তিক সিরাম, তেল ভিত্তিক সিরাম ও হিট প্রোটেকশন সিরাম। কোন ধরনের চুলে কোন সিরাম ব্যবহার করতে হবে চলুন জেনে আসি।
সমান চুল
স্ট্রেট বা সমান চুলে অয়েল বেসড বা তেল ভিত্তিক হেয়ার সিরাম ব্যবহার করতে হবে। কয়েক ফোঁটা সিরাম ভিজা চুলে লাগিয়ে নিন। চুলের মাঝের স্থান থেকে নিচ পর্যন্ত মাখতে হবে। সিরাম হাতের তালুতে নিয়ে হালকাভাবে মেখে নিতে হবে। চেপে চেপে লাগানো যাবে না। সিরাম মাখার পর চুল ব্লো ড্রাই করে নিতে পারেন। মনে রাখবেন, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অরগ্যান অয়েল থাকা সিরাম উপকারী। তাই অরগ্যান অয়েল রয়েছে, এমন সিরাম কিনুন।
কোঁকড়ানো চুল
কোঁকড়ানো চুল স্টাইল করা খুব কঠিন। এই ধরণের চুল বেশি রুক্ষ হয়। কোঁকড়ানো বা ঢেউ খেলানো চুল হলে পানি ভিত্তিক সিরাম ব্যবহার করুন। হেয়ার সিরামে কেরাটিন থাকে। যা কোঁকড়ানো চুলে ব্যবহার করলে কোমলতা ফিরে। চুলের টেক্সচার নষ্ট হয় না।
ঘন চুল
চুলের ঘনত্ব বেশি হলে যত্নও বেশি করতে হয়। ঘন চুলের ক্ষেত্রে এমন সিরাম বেছে নিতে হবে যা চুলকে ইউভি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। চুলের ঘনত্ব বেশি, সিরামের পরিমাণও বেশি লাগবে। প্রথমে অল্প পরিমাণ সিরাম চুলে মেখে নিতে হবে। পরে প্রয়োজন হলো আরও ব্যবহার করতে হবে।
চুলে সিরাম ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, ২-৩ ফোঁটার বেশি হেয়ার সিরাম ব্যবহার করবেন না। স্ক্যাল্পে ভুলেও হেয়ার সিরাম মাখবেন না। শুধু চুলের মাঝ বরাবর থেকে ডগা পর্যন্ত সিরাম ব্যবহার করতে হবে। অনেক সিরাম চুলকে তৈলাক্ত করে দেয়। যা ব্যবহার না করাই ভালো।