ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির সহধর্মীনি নিতা আম্বানি পুরো বিশ্বে পরিচিত। আম্বানি পরিবারের বউ হিসেবে তো তার পরিচয় রয়েছেই। আরও চিনেন রূপবতী নারী হিসাবেও। রূপে, গুণে পরিপূর্ণ নীতা আম্বানি। কিছুদিন আগে আম্বানি পরিবারের প্রাক-বিয়ের আয়োজনেও আলোচনার লাইমলাইটে ছিলেন তিনি। তার পোশাক, গহণা আর সাজ নজর কেড়েছিল পুরো বিশ্বের।
এশীয়ার শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি। ভারতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নীতা আম্বানি। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন, ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালকের দায়িত্বেও রয়েছেন। বয়স ৬০-এ পৌছে গেছৌ। তবুও বয়স আর ব্যস্ততাকে ছাপিয়ে নিজের ফিটনেস ও সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন নীতা আম্বানি। তার সৌন্দর্যের মধ্যেই ফুটে উঠে ব্যক্তিত্বও।
বয়স ৬০-এ পৌছালেও নীতা আম্বানি কীভাবে ধরে রেখেছেন নিজের সৌন্দর্য্য। এমন প্রশ্ন বারবারই করেছেন গণমাধ্যমগুলো। নীতা আম্বানিও জানিয়েছেন তার সুশৃঙ্খল জীবনযাপনই এর প্রধান রহস্য়। তার সকাল শুরু হয় হাঁটাহাঁটি দিয়ে। প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটেন তিনি।
খাওয়া দাওয়া নিয়েও বেশ সতর্ক থাকেন নীতা আম্বানি। সকালের খাবারে তিনি প্রতিদিন বাদাম, বিটরুট খান। আর জুস খেয়ে সকালের নাশতা শেষ করেন। অন্তত দুই বেলা তিনি বিটের জুস পান করেন। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে শরীরে শক্তি যোগায়। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা আর প্রাণবন্ত ভাব ধরে রাখতে বিটের বিকল্প নেই।
নীতা আম্বানির ফিটনেসও নজর কাড়ে সবার। কারণ নিজেকে তিনি ফিট রাখতে পছন্দ করেন। হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও শরীরচর্চা করেন। যোগব্যায়াম করেন প্রতিনিয়ত। সাঁতারও কাটেন। যা শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে ভালো রাখে। শরীরে রক্ত চলাচলও ভালো থাকে। এছাড়াও নিয়মিত কার্ডিও করেন।
সৌন্দর্যের ধরে রাখার অন্যতম প্রধান হচ্ছে পানি পান। নীতা আম্বানি প্রতিদিন যখনই সময় পান, পানি পান করেন। তার ডাবের পানি খুব পছন্দ। যা শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করে। ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল। তাই তিনি প্রতিদিন ডাবের পানি পান করেন।
বিশাল ধনী হলেও বাইরের খাবার ছুঁয়েও দেখেন না নীতা আম্বানি। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাইরের খাবার খান না। বরং প্রতিদিনের খাবারে সবুজ শাকসবজি খেতে পছন্দ করেন নীতা আম্বানি। ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন বি–জাতীয় খাবার বেশি বেশি খান। রাতে হালকা খাবার খান। বিশেষ শাকসবজির স্যুপ বেশি খান। রাতে শাকসবজির সালাদ, ফলমূল ও স্যুপ খান। তিনি খাবারের পরিমাণের থেকে নিউট্রিশনের উপর জোর দেন। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
চিনি ছাড়া ঘরে বানানো খাবারই তাঁর পছন্দ। তিনি সবসময় টাটকা খাবার খান বলেও জানান। যা তার সৌন্দর্য ধরে রেখেছে এই বয়সেও।