প্রতিটি ক্ষেত্রেই সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব দেখা যায়। রকমারি রান্না হোক কিংবা ফ্যাশনে, আবার ত্বকের যত্নে সবক্ষেত্রেই সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সাদের ফলো করেন অনেকে। বিউটি ব্লগারদের দেখানো ঘরোয়া টোটকা, বিউটি টিপস ও প্রডাক্ট ব্যবহার করে ত্বকের পরিচর্যা করেন। তাই ইদানিং ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ব্যবহার বেড়েছে। ত্বকের যত্নে এটি বরাবরই ভালো। কিন্তু এর ব্যবহার অনেকেই জানতেন না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও দেখে এর ব্যবহার বাড়ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সারদের দেখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার তো করছেন অনেকে। তবে কিছু ভুলের কারণে উপকারের পরিবর্তে অপকার হচ্ছে ত্বকের। সাধারণত সবার ত্বক একই রকম হয় না। ফলোয়ারদের ত্বক আর ইনফ্লুয়েন্সারদের ত্বকও এক রকম নয়। তাই একই পণ্য ব্যবহার করে একই রকম প্রভাব পাওয়া যায় না। বরং এর উল্টোটাই হয়।
ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই-এর উপকারিতা কম বেশি সবারই জানা। এটি ত্বকে কোলাজেন গঠনে এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের ক্ষত নিরাময় করে। ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে লালচে ভাব দূর করে। ত্বকের বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখাও বাড়তে দেয় না। সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মির হাত থেকেও ত্বককে রক্ষা করে এই ক্যাপসুল। যারা নিয়মিত মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করেন তাদের ত্বকের জেল্লা বাড়ে এবং অন্যান্য সমস্যা দূর হয়।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেন সবার ত্বকে কাজ দেয় না, জানেন? এর কারণ হচ্ছে, ত্বকের ধরণ। সবার ত্বকের ধরণ এক নয়। এটি সব ধরণের ত্বকের জন্য উপকারী বলা হলেও, সেনসিটিভি ত্বকের জন্য এই ক্যাপসুল ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে, ভিটামিন ই ক্যাপসুলের মধ্যে থাকা নির্যাস সরাসরি মুখে মাখলে সেনসিটিভ ত্বকের জন্য বিপদ বাড়তে পারে। ত্বকে র্যাশ, ফুসকুড়ি, অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। এমনকি ত্বকে প্রদাহ বেড়ে যেতে পারে।
ভিটামিন ই ব্যবহারের সঠিক নিয়মও জানা জরুরি। ভিটামিন ই ক্যাপসুল প্রথমবার ব্যবহারে উপকার না পেলে তা দ্বিতীয়বার ব্যবহার না করাই ভালো। সেক্ষেত্রে সেনসিটিভ ত্বকে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ফেস অয়েল ব্যবহার করুন। সরাসরি ভিটামিন ই ক্যাপসুল লাগাবেন না। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার বাদাম, বীজ, ফল, শাকসবজি নিয়মিত খান। এতে আপনার ত্বক ভালো থাকবে।