ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির পরিবারের বিয়ের চর্চা চলছেই নেটদুনিয়ায়। ১২ জুলাই বিয়ের চূড়ান্ত আয়োজন সম্পন্ন হবে। এর আগেই প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজনে কমতি থাকছে না। বাদ যাচ্ছে না কোনো নিয়ম-রীতিও। প্রথমে প্রাক বিয়ের আয়োজন বসেছিল ভারতের জামনগরে। ৫ দিনব্যাপী ছিল সেই আয়োজন। এরপর দ্বিতীয়বারের মতো প্রাক বিয়ের আয়োজন হয় ইতালিতে। সেখানে ৩ দিনের জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতেই থেমে যায়নি আম্বানি পরিবারে। সম্প্রতি প্রাক বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় মামিরু সিরিমনি’আয়োজন করে আম্বানি পরিবার। যেখানে কনের মামার বাড়ি থেকে বিয়ের উপহার আসে এবং বর-কনেকে আর্শীবাদ করা হয়।
গুজরাটি সংস্কৃতির অংশ হচ্ছে মামিরু সিরিমনি’। আম্বানিদের ২৭ তলার বিলাসবহুল ভবন ‘অ্যান্টালিয়া’য় এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। দুই পরিবারের আত্মীয়-স্বজনসহ বন্ধুরাও এই আয়োজনে অংশ নেন। বলিউড তারকাদের অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এই উত্সবে আম্বানিসহ সব অতিথিদের জমকালো পোশাক নজর কাড়ে নেটিজেনদের। থিমের সঙ্গে মিলিয়ে ভারতের ঐতিহ্যবাহী পোশাক—শাড়ি, লেহেঙ্গায় সেজেছেন উপস্থিত থাকা সুন্দরী নারীরা। যেখানে ছিল রঙের মেলা। কমলা, রানি গোলাপী, সোনালির মতো চনমনে রঙিন পোশাকে সেজে উঠেছিল আম্বানির বধুরাসহ উপস্থিত অতিথিরা। ছেলেদের পোশাকে ছিল রঙের ছোঁয়া। নীল, লাল, কমলা রঙের শর্ট-লং পাঞ্জাবিতে দেখা যায় ছেলেদের।
গুজরাটি ব্যবসায়ীর মেয়ে রাধিকা মার্চেন্ট। উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল কনে রাধিকার পোশাকটি। ভারতের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রার নকশা করা কাস্টম মেড জমকালো লেহেঙ্গা–চোলিতে অপরূপ সুন্দর লাগছিল রাধিকাকে। গুজরাটি ঐতিহ্যকেই সেই লেহেঙ্গায় নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যাতে ছিল ক্ল্যাসিক এমব্রয়ডারি আর সোনার জরিতে জারদৌসির কাজ। জমকালো কাজের ঘাগড়াটি তৈরি হয়েছে ৩৫ মিটার কাপড় দিয়ে। লেহেঙ্গার পাড় আর ওড়নার আঁচলে ফুটে উঠেছে দুর্গার শ্লোক আর পৌরাণিক কল্পকাহিণী।
রাধিকার পরনে গয়নাও নজর কাড়ে নেটিজেনদের। লেহেঙ্গা বিখ্যাত ফ্যাশনডিজাইনার দিয়ে তৈরি করলেও গয়না ছিল রাধিকার মায়ের। মায়ের গয়না পরেই মামাদের আশীর্বাদ নেন রাধিকা। এছাড়াও এই উত্সবে রাধিকাকে আকর্ষণীয় ও স্টাইলিস্ট করে তুলেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার রিয়া কাপুর।
রাধিকা মার্চেন্টের পাশাপাশি আম্বানি পরিবারের কন্যা ইশা আম্বানির দিকেও নেটিজেনদের চোখ আটকে যায়। এই উত্সবে ইশা আম্বানির পরনে ছিল অর্পিতা মেহতার ডিজাইন করা অরগ্যাঞ্জা–সিল্ক রাফলড শাড়ি। যাতে ছিল সোনালী জরির কাজ।
আম্বানি বাড়ির বড় বধূ শ্লোকা মেহতারও পরেছিলেন কমলা, গোলাপি, সোনালি রঙের মিশ্রণে কারুকাজ করা জমকালো লেহেঙ্গা–চোলি। আম্বানি পরিবারে প্রধান কর্তী নীতা আম্বানির পোশাকও কম ছিল না। তিনি আবু জানি-সন্দ্বীপ খোসলার নকশা করা রানি গোলাপি রঙের চুনরি শাড়ি পড়েন। যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন নেটিজেনরা।