শীতের শুরু হতে না হতেই ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠেছে। ময়েশ্চারাইজ করে রাখতে হচ্ছে সারাক্ষণ। ত্বক নরম ও কোমল রাখার জন্য বিভিন্ন রকমের উপাদানের পাশাপাশি স্কিন টোনারও চমৎকার কাজ করে। সেই সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্যকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
সবসময় দোকান থেকে টোনার কিনে ব্যবহার করতে হয়। এতে খরচও হয়ে যায় বেশি। কিন্তু নিজের হাতের তৈরি সবকিছুরই আলাদা এক মূল্য থাকে। কারণ যেকোনো জিনিস ঘরে তৈরি করতে গেলে তাতে জাড়িয়ে থাকে ভালোবাসা ও যত্ন।
তাই আপনি চাইলে ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারেন স্কিন টোনার। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বানাবেন-
- একটি শশা কুচি করে কেটে তার সঙ্গে আধা কাপ টক দই দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার মুখে লাগিয়ে পাঁচ-দশ মিনিটের জন্য রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ফ্রিজে রেখে আপনি দুই-তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন।
- এক লিটার গরম পানিতে পুদিনা পাতা ছেড়ে দশ মিনিট রেখে দিয়ে পানি ছেঁকে ঠান্ডা হতে দিন। এবার তুলার সাহায্যে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
- গোলাপজল টোনার হিসেবে সবচেয়ে সেরা। আধা লিটার পানিতে পাঁচটি ডিস্টিল ওয়াটার ও আটটি গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল দিন। বেগুনি রঙ ধারণ করলে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে পানি ছেঁকে নিন। এই টোনার এক মাস ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন। প্রতিদিন দুই-তিন বার এটি ব্যবহার করতে পারেন।
- সমপরিমাণ ভিনেগার ও গোলাপজলের মিশ্রণ তৈরি করেও আপনি টোনার হিসেবে লাগাতে পারেন।
- একটি গ্রিন টি ব্যাগ আধা কাপ পানিতে দশ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে পানি ছেঁকে নিন। প্রতিদিন সকালে এই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। এই টোনার ত্বককে সারাদিনের জন্য কোমল ও সতেজ রাখবে।
- একটি চা চামচের ১/৪ ভাগ অলিভ অয়েল, ১/৪ চা চামচ লেবুর রস ও এক চা চামচ মধুর মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- মুখ ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ডিমের সাদা অংশ লাগিয়ে এক-পনের মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই টোনার মুখের দাগ দূর করতেও কাজ করে। রাতে ঘুমানোর আগে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
- পেঁপে ও আপেল একসঙ্গে ব্লেন্ড করে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন দিনের যেকোনো সময়।