বাঙালির পূজার উত্সব মানেই শাড়ি। আর প্রিয় শাড়ির তালিকার প্রথমেই থাকে জামদানি। পুজো উপলক্ষে অনেক শাড়ি কেনা হলেও একটা জামদানি তো থাকা চাই। সপ্তমী বা অষ্টমীতে বাড়ির সবাই জামদানি পরে উত্সব উদযাপন করবে, তাতে আনন্দটাই ভিন্ন।
প্রতিবছরই জামদানি শাড়ি পরা হয়। প্রতিবারের মতোই এবারও জামদানি শাড়ির প্রতি বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করছেন বাঙালি সুন্দরীরা। তাই শারদীয়ার দেড় মাস আগেই পুজোর ট্রেন্ডিং জামদানি নিয়ে সাড়া পড়েছে। এবার নতুনত্ব রাখতে একটু চেষ্টা করতেই পারেন ফ্যাশনিস্তরা। কম বাজেটেই ট্রেন্ডিং জামদানি তৈরি করে নিতে পারেন। যেহেতু বাজেট কম, তাই বেশ কয়েকটি দিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিজের মনের মতো করে ট্রেন্ডিং জামদানি শাড়ি করে নিতে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন। যেমন_
দামের দিকে নজর রাখুন
মূলত জামদানির শাড়ির দামটা একটু বেশিই হয়। কারিগররা অনেক যত্ন করে এই শাড়ি তৈরি করেন। তাই পারিশ্রমিকও বেশি। হাজার টাকা থেকে শুরু করে লাখের জামদানিও পাওয়া যায়। কিন্তু সবার বাজেট তো এক নয়। তাই বাজেট অনুযায়ী জামদানি পছন্দ করুন। এক শাড়িতেই অনেক টাকা খরচ করা ঠিক হবে না। শাড়ির মান অনুযায়ী দামদামি করুন। অল্প বাজেটের মধ্যে পছন্দের রঙের ভালো মানের শাড়িটি কিনে নিতে পারবেন।
পছন্দের রং
এই পুজোয় প্যাস্টেল শেডের জামদানি পরতে পারেন। তরুণীরা কালেকশনে রাখতে পারেন গাঢ় উজ্জ্বল রঙা জামদানি। এই দুটিই এবার ট্রেন্ডিংয়ে চলছে। যা বঙ্গতনয়াদের বেশ মানাবে। তাছাড়া সেলফ এমব্রয়ডারি করা লাল, সাদা, গোলাপি ও কালো রঙের জামদানি শাড়িও সবার খুব পছন্দ হয়। এবার কোনো রং বেছে নিতে পারেন নিজের জন্যেও।
কারুকার্য দেখুন
ভালো মানের জামদানি শাড়ি কেনাই ভালো। নয়তো তা বেশিদিন টেকসই হবে না। আবার অল্প দামের সিন্থেটিক মেশানো জামদানি শাড়ি পাওয়া যাবে। তবে তাতে আরাম মিলবে না। ভালো মানের হাতে বোনা জামদানি শাড়ি কিনলে টেকসই হবে। আবার আরামও মিলবে। শাড়ির দুই পিঠে কারুকার্য দেখে নিন। এক্ষেত্রে বাজেট কম হলে হালকা কাজের দেখে কিনুন।
জরির কাজও সুন্দর
উৎসব-অনুষ্ঠানে পরার জন্য জরির কারুকার্য করা জামদানি বেছে নিন। পুজো উপলক্ষে সোনালি জরির এমবেলিশড জামদানি কালেকশনে রাখুন। সেই সঙ্গে কিছু হাতের কারচুপি কাজও করে নিতে পারেন। শাড়ির আচলে কিংবা পাড়ের অংশে ভারি কারচুপির কাজ করে নিন। এতে লুকটাই বদলে যাবে। তাছাড়া শাড়ির আচলে টারসেল লাগিয়ে নিতে পারেন। জামদানি শাড়িতে গ্লাস ওয়ার্ক করে নিলেও ট্রেন্ডি দেখাবে।
ব্লাউজের কারুকাজ
জামদানি শাড়ির সঙ্গে সাধারণত সেই কাপড়ের ব্লাউজই পরা হয়। কিন্তু ট্রেন্ডিংয়ের সঙ্গে চলতে এবার একটু ভিন্নভাবে ব্লাউজটি তৈরি করতে পারেন। অন্য কোনো কাপড়ের ব্লাউজ পরতে পারেন, কিংবা কারুকাজ করা একরঙা ব্লাউজ পরতে পারেন। আবার চাইলে শাড়ির সঙ্গে থাকা জামদানির ব্লাউজটিতে নিজেই কারচুপি কাজ করাতে পারেন। এতে বেশ ট্রেন্ডি লাগবে।