শীতের মৌসুমে ত্বক ও চুলে রুক্ষতা বেড়ে যায়। তেল ম্যাসাজ করেও যেন রুক্ষতা কমে না। কেউ আবার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করেন। কিন্তু শীতের মরসুমে আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলায় এসব উপায় কাজে লাগে না। তাই চুলের যত্নে হেয়ার বাটার লাগিয়ে নিন। যা ঘরেই বানিয়ে নেওয়া যায় সহজেই।
প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়েই হেয়ার বাটার বানানো যাবে। বিভিন্ন ধরনের বাটার, যেমন কোকো বাটার, শিয়া বাটার, ম্যাঙ্গো বাটার এবং তেলের মিশ্রণে তৈরি প্রসাধনীটি চুলের আর্দ্রতা ধরে। সেই সঙ্গে মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগানো ও মসৃণ করে তুলতে হেয়ার বাটার বেশ কার্যকর।
হেয়ার বাটার শুকনো বা ভেজা যেকোনও চুলেই ব্যবহার করা যায়। যা চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতাকে ধরে রাখে। চুলের ডগা ফাটা কিংবা নিষ্প্রাণ চুলে জেল্লা বাড়াতে হেয়ার বাটার উপকারী।
হেয়ার বাটার বানাতে দেড় কাপ শিয়া বা কোকো বাটার, ২ টেবিল চামচ হেম্প সিড অয়েল, ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ২ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল, ৫-৬ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল (ল্যাভেন্ডার, রোজ়মেরি) ব্যবহার করতে হবে।
সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। কোকো বা শিয়া বাটার যেন ঘরের তাপমাত্রায় থাকে তা খেয়াল রাখুন। প্রতিটি উপকরণ ভালো করে মেশান। ক্রিমের মতো হয়ে এলে কাঁচের পাত্রে রেখে দিন। এটি ফ্রিজে রাখা যাবে না। বাইরে রেখেই ব্যবহার করতে হবে।
শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারের পর হেয়ার বাটার লাগাতে পারেন। মাথার ত্বক থেকে চুলে লাগিয়ে নিন। এরপর হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। আধ ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে নিন। আবার গোসলের পর ক্রিমের মতো তুলে হেয়ার বাটার চুলে লাগিয়ে নিতে পারেন। অল্প পরিমাণে লাগালে ধোয়ার দরকার হবে না। শুকনো চুলে বা ভিজে চুলে হেয়ার বাটার লাগিয়েও আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিতে পারেন।
খেয়াল রাখবেন, হেয়ার বাটার যেন পরিষ্কার চুলে লাগানো হয়। তবে হেয়ার বাটার লাগানোর আগে চুল কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে নিলে ভালো উপকার পাবেন।