বছর শুরুতেই উত্সবের শুরু। মকর সংক্রান্তির আয়োজনে ব্যস্ত গোটা বাঙালি। ১৪ জানুয়ারিতে মকর সংক্রান্তির আনন্দে মেতে উঠবে বাঙালিরা। পরিবারের সদস্যরা, বন্ধুরা একসঙ্গে হবে। দিনভর ঘুড়ি উড়ানো, খাবারের আয়োজন, নাচ গানের ব্যবস্থা করা হবে। ওপার বাংলায় এই দিনটিতে ছুটির ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু এপার বাংলায় কর্মব্যস্ত দিনের মধ্যেই উত্সব উদযাপন করে বাঙালিরা।
মকর সংক্রান্তির উত্সব মানে কৃষকের ফসল কর্তনের মৌসুমের শুরু। কৃষকরা নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দ উদযাপন করে। আনন্দ আয়োজনে মিষ্টি পদের ব্যবস্থাও থাকে। মকর সংক্রান্তিতে বাঙালির বাড়িতে যেসব মিষ্টি পদ তৈরি হয়, চলুন তা জেনে আসি।
সাকরাই পোঙ্গল
ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ ভারতীয় খাবার সাকরাই পোঙ্গল। এটি ছাড়া যেন পুরো আয়োজনই অসম্পূর্ণ থাকে। চাল, মুগ ডাল, গুড়, ঘি এবং বাদাম দিয়ে তৈরি হয় এই মিষ্টি।
তিলের লাড্ডু
তিল এবং গুড় দিয়ে তৈরি হয় তিলের লাড্ডু। ছোট বল আকারে তৈরি করে সাজিয়ে রাখা হয়। যা ছোট বড় সবার প্রিয়। এটি অনেক সুস্বাদু। তৈরি করাও সহজ। তাই এই দিনের নাস্তার টেবিলে এই মিষ্টি পদ থাকতেই পারে।
সরষে সাগ
শীতকালের অন্যতম পছন্দের খাবার সরষের সাগ। এটি ভারতের পাঞ্জাবের জনপ্রিয় খাবার। যা মকর সংক্রান্তিতেই বানানো হয়। সরষের পাতা ঘি আর মশলার মিশ্রণে রান্না করা হয়। এর সঙ্গে গুড় বা চিনি থাকে। মাক্কি রুটি দিয়ে খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে।
গজক
গজক মকর সংক্রান্তির আরও একটি জনপ্রিয় খাবার। যা বাদাম এবং গুড় দিয়ে তৈরি হয়। আবার তিল এবং চিনি মিশিয়েও বানানো হয় সুস্বাদু এই পদ।
পিন্নি
পিন্নিও মকর সংক্রান্তির ঐতিহ্যবাহী খাবার। গমের আটা, দুধ, চিনি, বাদাম, শুকনো ফল এবং দেশি ঘি দিয়ে তৈরি হয় পিন্নি। এটি পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। যা শরীরকে উষ্ণ এবং শক্তিশালী করে।
গুড়ের চাল
দুধ, ঘি, এলাচ এবং গুড় দিয়ে তৈরি হয় গুড়ের চাল। মকর সংক্রান্তির দুপুরের খাবার এটি। যা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রস্তুত করা যায়।
পায়েস
মকর সংক্রান্তি আরও একটি খাবার পায়েস। এলাচ-পাটালি সহযোগে তৈরি করা হয় এই পায়েস। পায়েস রান্নার পর উপরে বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করা হয়।
নারকেল সন্দেশ
নারকেল ও গুড় দিয়ে তৈরি হয় নারকেশ সন্দেশ। মকর সংক্রান্তির উত্সবে এটিও প্রিয় খাবার। এই মিষ্টি অতিথি আপ্যায়নেরও পরিবেশন করা হয়।