প্রতিবছরই রূপচর্চায় নয়া ট্রেন্ড আসে। নতুনত্বকে গ্রহণ করে আরও বেশি রূপ সচেতন হয় মানুষ। বিশেষ করে নারীরা রূপ সচেতনতায় বেশ এগিয়ে। নতুন কোনো টেকনিক বের হলেই তা পরখ করতে দ্বিধাবোধ করেন না। ২০২৫ সালও ব্যতিক্রম নয়। বছরের শুরুতেই ত্বকের যত্নে বাজার কাঁপাচ্ছে এলইডি মাস্ক।
ত্বকের বয়স ঠিক রাখতে, ত্বকের যত্নে হাজারো প্রসাধনীর ব্যবহার হয়। এরপরও এলইডি লাইট থেরাপি এখন ট্রেন্ডিংয়ে চলছে। কারণ এই থেরাপি অল্প সময়ের মধ্যেই ত্বকের পরিচর্যা করতে পারে।
ত্বকের পরিচর্যায় সিরাম, এক্সফোলিয়েটরের বাজার বেশ ভালোই চলছিল। এরমধ্যেই আরও কার্যকরী উপায় হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে এলইডি মাস্ক। যা দেখতে মুখোশের মতোই। সেই মুখোশ থেকেই এক ধরনের আলো নির্গত হয়। এই আলো দিয়েই ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়।
রূপচর্চায় ট্রেন্ডে চলছে এলইডি মাস্ক, তবুও এটি এখনও অনেকের কাছেই অপরিচিত। এখনও এর ব্যবহার ও উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন না। এলইডি মাস্ক এক ধরনের বিউটি টুলস। যার পুরো নাম হচ্ছে ‘লাইট এমিটিং ডায়োড’। এই মাস্ক থেকে বিভিন্ন রঙের আলো নির্গত হয়। যা দিয়ে ত্বকের ‘টিট্রমেন্ট’করা হয়। মাস্ক থেকে নির্গত আলো ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করে। যা থেকে ত্বকের নানা সমস্যা দূর হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন , যে কোনও প্রসাধনীর তুলনায় এলইডি মাস্ক অনেক উপকারী। বিশেষ করে কম বয়সীরা এই মাস্ক বেশি ব্যবহার করছেন। বয়স ৩০ হলেই এই লাইট থেরাপির দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। কারণ এটি ত্বকের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে কাজ করতে সক্ষম। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের প্রদাহ, ফোলা ভাব কমে যায়। ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ে। ত্বকের বয়স ঠিক রাখে। ত্বকের ক্ষত নিরাময় করে। যারা দীর্ঘদিন ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি উপকারী। এর আলো ত্বকের ভিতর প্রবেশ করে, সেবাম উৎপাদনের পরিমাণকেও নিয়ন্ত্রণ করে।
এলইডি মাস্ক থেকে বিভিন্ন রঙের আলো নির্গত হয়। একেক আলোতে একেক ধরণের কাজ হয়। এলইডি মাস্ক থেকে নির্গত লাল আলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। এটি ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং প্রদাহ কমায়। ত্বকের ক্ষত নির্মূল করে। ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
যাদের ব্রণ রয়েছে, তাদের জন্য় নীল আলোর ব্যবহার হয়। নীল আলোর তরঙ্গের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে। যা ব্যাকটেরিয়া দূর রাখে।
সেনসিটিভ ত্বকের জন্য এলইডি মাস্কের হলুদ আলো দুর্দান্ত কাজ করে। এটি ত্বকের লালচে ভাব, প্রদাহ দূর করে এবং চুলকানি কমিয়ে দেয়।
এলইডি মাস্ক ব্যবহার নিয়ে অনেকের মনে শঙ্কা থেকে যায়। এটি কি সুরক্ষিত? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত এলইডি থেরাপির কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞ বা বিউটি এক্সপার্টকে দিয়ে এই থেরাপি নিতে হবে। মাসে একবার কিংবা সপ্তাহে একবার এই থেরাপি নেওয়া যাবে। সাধারণত ত্বকের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী এই মাস্ক ব্যবহার হয়। তাই এক্সপার্ট বিউটিশিয়ানকে দিয়েই এই থেরাপি নিলে উপকার পাওয়া যাবে।