সারাবছরই ঘরকে সুন্দর পরিপাটি রাখতে হয়। তবে ঈদের সময় ঘর নিয়ে যেন বাড়তি আয়োজন থাকে। ঘরে নতুন কিছু সংযুক্ত করা, পুরোনো কিছু ফেলে দেওয়ার প্রক্রিয়া তো থাকেই। যা ঈদের আগেই করতে হয়। কেননা ঈদ পোশাক কিনলে তা রাখার জায়গাও তো বের করতে হবে। তাই ঘর গুছিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করুন এখনই। কাজের ব্যস্ততার মাঝেই মাত্র ১০ মিনিট সময় বের করে ঘরকে গুছিয়ে নিন। চলুন কিছু পরিকল্পনার কথা জেনে নেই।
· ঘরের ছোট্ট অংশ থেকে শুরু করুন। ধুলো ঝেড়ে গুছিয়ে নিন। একটি ঘরকে গুছিয়ে নিয়ে, পরের দিন আবার অন্য কোনও ঘরের কোনো অংশ গুছিয়ে নিতে পারেন। অল্প অল্প করে গুছিয়ে নিলে শারীরিক ক্লান্তি আসবে না।
· ঘরের অনেক জিনিস রয়েছে, যা আপনি বহুদিন ধরে ব্যবহারও করেন না। এসব জিনিস হয়তো বিশেষ কোনো কারণে বা বিশেষ কোনো দিনের জন্য তুলে রেখেছেন। এমন জিনিস থেকে বাছাই করুন। যা একেবারেই না হলেও চলে তা দান করে দিতে পারেন।
· ‘১২-১২-১২’ নিয়ম মেনেও ঘর গুছিয়ে নিতে পারেন। ১২টি জিনিস ফেলে দেওয়ার জন্য বেছে নিন, ১২টি জিনিস দান করার জন্য আলাদা করুন, আর ১২টি জিনিস তুলে রাখুন। এই নিয়মে খুব দ্রুত ঘর গুছিয়ে নিতে পারবেন।
· যেসব জিনিস ব্যবহার করবেন না তা একটি বাক্সে তুলে রাখুন। ঈদের আগেই তা অন্যদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দিয়ে দিতে পারেন। আবার গরিব অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করে দিতে পারেন। যেসব জিনিস পুনব্যবহারের উপযোগী তা এক জায়গায় গুছিয়ে রাখুন।
· প্রতিদিন ১০ মিনিট রাখুন। এই সময়ের মধ্যে জায়গার জিনিস জায়গায় তুলে রাখবেন। আলাদা করে ঘর গোছানোর প্রয়োজন পড়বে না।
· কাগজপত্র ঘরের অনেকটা জায়গা দখলে নেয়। খবরের কাগজ, বিদ্যুতের বিল, গ্যাসের বিল কিংবা কাগজের টুকরো একসঙ্গে করে ফেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। এতে ঘরের অনেকটা জায়গা খালি হবে।
· প্রতিদিন রান্নাঘরের আলমারির একটি তাক খালি করে গুছিয়ে নিন। এতে জিনিস অগোছালো থাকবে না।
· ‘একটি ভিতরে, একটি বাইরে’। এই নিয়ম মেনে চলুন। এতে নতুন কোনও জিনিস কিনলে একই সঙ্গে পুরনো জিনিস বাতিল করে দিন। এতে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জমে থাকবে না।
· দানবাক্স হিসেবে ঘরের কোণে একটি বাক্স রাখতে পারেন। কোনও জিনিসের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তা সেই বাক্সে তুলে রাখুন। বাক্স ভরে গেলে তা পুরোটাই দান করে দিন। এরপর আবারও ঘরের কোণে নতুন বাক্স রাখুন এবং যথারীতি তাতে অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো জমিয়ে নিন। এই নিয়মেও ঘর অনেকটাই গুছানো থাকবে।