পর্যটক হয়ে দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন প্রিয় সঙ্গী। বিদেশের মনোরম পরিবেশ আর প্রকৃতির বৈচিত্র্য দেখে আবেগতারিত হতেই পারেন। আবেগের বশে সঙ্গীকে কাছে টেনে চুম্বন করে ভালোবাসার প্রকাশও করেন অনেকে। দুজনের একান্ত সময়গুলো এভাবেই কাটে। তবে প্রকাশ্যে ভালোবাসার এমন প্রকাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধও হতে পারে। কারণ বিশ্বের কয়েকটি দেশেই সঙ্গীকে প্রকাশ্যে চুম্বন করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শুধু তাই নয়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য হলে জেল জরিমানারও ব্যবস্থা রয়েছে কয়েকটি দেশে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জনসম্মুখে সঙ্গীকে চুম্বন করা অনেকটা লজ্জার বিষয়। অন্যের চোখে পড়লে তা নিয়ে বিতর্কিতও হতে হয়। কিন্তু এর জন্য জেল কিংবা জরিমানার কোনো ব্যবস্থা থাকে না। তবে বিশ্বে এমনও দেশ রয়েছে যারা এমন অবাঞ্চিত পরিস্থিতিকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। যুগলকে জড়িয়ে ধরতে কিংবা চুম্বন করতে দেখলেই জেল হবে নিশ্চিত।
বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশই এই বিষয়ে কঠোর। জনসম্মুখে স্ত্রীকে চুম্বন করতে দেখলেই পুলিশ জরিমানাসহ জেলও দিতে পারে। ওইসব দেশের স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে বেশ অবগত রয়েছেন। তবে পর্যটকরা সেখানে গেলে প্রায়শই কঠোর আইনের মুখোমুখি হন।
২০০৯ সালে দুবাইয়ের পাবলিক প্লেসে চুম্বন করতে গিয়ে ধরা পড়েন এক ব্রিটিশ দম্পতি। তিন মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন তারা। ওই দেশে ট্যাক্সিতে বসে সঙ্গীকে চুম্বন করতে গিয়ে কারাদণ্ডের শিকার হন এক ভারতীয় দম্পতি। ইন্দোনেশিয়াতেও বিষয়টি নিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রকাশ্যে সঙ্গীকে চুম্বন করলেই ৫ বছরের কারাদণ্ড বা আড়াই কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয় সেখানে।
জাপানের টোকিওতেও রয়েছে এমন নীতি। তারা নিজেদের সংস্কৃতি বা সভ্যতাকে শীর্ষে রাখে। তাই প্রকাশ্যে সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসার প্রকাশকে তারা অনুমতি দেয় না। এর জন্য শাস্তি ও জরিমানার বিধান করা হয়েছে। বিশ্বের সভ্যতার দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে চীন। সেখানেও রয়েছে ভালোবাসা প্রকাশের নিষেধাজ্ঞা। অর্থাত্ প্রকাশ্যে সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ করা যাবে না এই দেশেও। ২০০৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিংয়ে ভ্যালেন্টাইনস ডে’উদযাপনে এক চীনা ব্যক্তি সঙ্গীকে চুম্বন করেন। জনসম্মুখে এমন পরিস্থিতির নিন্দা জানিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ওই সময় তাকে জেল ও জরিমানা দেওয়া হয়। তাই বিশ্বের যে দেশেই ঘুরতে যাচ্ছেন, তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি। এতে অবাঞ্চিত পরিস্থিতি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যাবে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে