বাঙালির ঐতিহ্যের অন্যতম হচ্ছে বর্ষবরণ। প্রতিবছরই ঘটা করে বাংলার নতুন বছরকে বরণ করা হয়। বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। লাল সাদা পোশাকে শোভাযাত্রায় হাজির হন হাজারো মানুষ। এরপর ঘরে বাইরে চলে পান্তা ইলিশের আয়োজন। মেলায় ঘুরে বেড়ানো, ছবি তোলাসহ নানা আয়োজনেই কেটে যায় বর্ষবরণের পুরোটা দিন।
বর্ষবরণ উপলক্ষে নতুন পোশাকও কেনা হয়। ছোট বড় সবার গায়েই থাকে নতুন পোশাক। লাল সাদা রঙ থেকে বেরিয়ে এখন বৈশাখের আনন্দে যুক্ত হয়েছে আরও বাহারি রং। বাহারি রঙের পোশাকে সেজে বেড়ায় নারী পুরুষরা।
বর্ষবরণ উপলক্ষে সাজ পোশাকেও থাকে ভিন্নতা। প্রতিবছরই প্রচণ্ড গরমেই বৈশাখকে বরণ করা হয়। এবারও ব্যাতিক্রম নয়। বিশাল আয়োজনেই নতুন বছরকে বরণ করা হবে। পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ঘুরতে বেড়াবেন দিনভর।
নববর্ষের ফ্যাশনেও থাকে নতুনত্ব। সেই সঙ্গে মেকআপেও থাকে বিশেষ যত্ন। বিশেষ এই দিনে নিজেকে আকর্ষণীয় করতে কতই না আয়োজন। এবারের বর্ষবরণের সাজ-পোশাক কেমন হবে তা নিয়ে ভাবছেন। এবার বৈশাখে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কথা মাথায় রেখেই সাজ হওয়া বাঞ্চনীয় বলে মনে করছেন রূপবিশেষজ্ঞরা।
এবারের বর্ষবরণে নারী-পুরুষের বাঙালিয়ানা সাজ যত হালকা হবে ততই আরামদায়ক এবং উপভোগ্য হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে হালকা পোশাক আর হালকা সাজেই আরাম পাওয়া যাবে। ভারী শাড়িতে না সেজে বরং হালকা সুতি বা আরামদায়ক কোনো শাড়িকে বেছে নিন। পুরুষরা সুতি পাঞ্জাবিতেই বেশি আরাম পাবেন। এছাড়াও জিন্স, টপস, শার্ট, টি-শার্টও পরা যাবে।
নববর্ষের ফ্যাশনে এবার মসলিন, ঢাকাই ও হ্যান্ডলুম শাড়ি ট্রেন্ডে রয়েছে। তবে একরঙা শাড়ি পরে হালকা সাজেই দিনটি কাটিয়ে দিতে পারেন। শাড়ির সঙ্গে কনট্রাস্ট ব্লাউজ পরে নিন। আর হালকা গহণাও পরতে পারেন। রূপার গহণা বেশ মানাবে।
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে আরাম পেতে মেকআপ যত কম হবে ততই ভালো। তাই হালকা মেকআপেই দিনটিতে ঘুরে বেড়ান। সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করবেন। হালকা ব্লাশন, চোখে কাজল, ঠোটে হালকা লিপস্টিক ও কপালে টিপ পরেই নিজেকে আকর্ষণীয় করে নিন।
প্রিয় পোশাকের সঙ্গে চুলের সাজটাও দিয়ে নিন। চুলে খোপা করে ফুল লাগাতে পারেন। তবে বেশি ভারী না পড়ে হালকা ফুল পরুন চুল খোলা না রাখাই ভালো। এতে গরমে অস্বস্তিবোধ হবে। তবে ছোট চুল হলে স্ট্রেট করে নিন এবং পাশেই দুটো ফুল লাগিয়ে নিতে পারেন। ছিমছাপ হালকা সাজে বর্ষবরণের দিনটিতে আপনাকে আরও প্রাণবন্ত ও ন্যাচারাল দেখাবে।