বাঙালির ঐতিয্যের অন্যতম পাট বস্ত্র। পাটের তৈরি নানা জিনিস ব্যবহৃত হচ্ছে। ফ্যাশন জগতেও পাটের বাড়তি চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে পাটের তৈরি ব্যাগের প্রতি ঝুঁকছেন হাল ফ্যাশনের তরুনীরা। বাইরে গেলে তরুনীরা সঙ্গে ব্যাগ রাখবেই। জিন্স টপস, শাড়ি কিংবা সেলোয়ার কামিজ সবকিছুর সঙ্গেই ব্যাগ থাকা চাই। সেই জায়গা জুড়ে নিয়েছে পাটের তৈরি ফ্যাশনেবল ব্যাগ।
বাইরে গেলে ফ্যাশনেবল ব্যাগ না হলে চলেই না। বিশেষ করে ক্লাসি লুক যারা পছন্দ করেন তারা বাংলার ঐতিয্যের পণ্য ব্যবহার বেশি করেন। বিভিন্ন দেশিয় ব্র্যান্ডও এসব পণ্য নিয়ে কাজ করছে। তাই পাটের ব্যাগে এসেছে নতুনত্ব। এই ব্যাগে এখন ল্যাপটপ, অফিসের দরকারি জিনিসপত্র, ক্লাস নোট, বই খাতা, হেডফোন, চার্জার, সানস্ক্রিনসহ টুকিটাকি অনেককিছু জায়গা করে নেয়। তাই চাহিদাও বেড়েছে পাটের ব্যাগের।
কাপড় ও চামড়ার তৈরি ব্যাগের মতো পাটের ব্যাগেরও চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তাই আধুনিক প্রযুক্তি আর নান্দনিক নকশায় পাটের ব্যাগকে আরও আকর্ষণীয় করা হয়েছে। কলেজ পড়ুয়া মেয়েরা বেশি ব্যবহার করছে পাটের ব্যাগ। শুধু তাই নয়, অফিসে খাবার নিতেও নারীরা পাটের ব্যাগেই ভরসা রাখছে। পাটের ব্যাগ আগেও ততটা মসৃণ ছিল না। কিন্তু এখনকার ব্যাগগুলো খুবই মসৃণ এবং বুননও বেশ মজবুত করা হয়।
প্রস্তুতকারকরা জানান, পাটের ব্যাগ পরিবেশবান্ধব বলে এর কদর আলাদা। প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই এখন পাটের ব্যাগে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যাগের প্রতি উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, সমাবর্তন, বনভোজনের মতো অনুষ্ঠানে পাটের ব্যাগের চাহিদা বেড়েছে। তাই ভিন্নতা আনতে পাটের ব্যাগে এখন নান্দনিক নকশাও যোগ হচ্ছে।
বর্তমান ফ্যাশনে পাটের ব্যাগ বিভিন্ন নকশা ও ডিজাইনে পাওয়া যাচ্ছে। যা অফিসকর্মী থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করছে অনায়াসে। পাটের ওপর চামড়া দিয়ে নকশাও ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। পাটের ওপর প্রিন্টের নকশা বা লেখা ফুটিয়ে ডিজাইন করা হচ্ছে। এখন পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে পাটের ব্যাগ পাওয়া যাচ্ছে। বাহারি রঙ যুক্ত হয়েছে ফ্যাশনেবল পাটের ব্যাগে। এই ব্যাগ বহুদিন আলমারিতে রেখে ব্যবহার করলেও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন অনেক মার্কেটেই পাটের ব্যাগ পাওয়া যায়। আবার দেশিয় ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোতেও পাটের ব্যাগ পাওয়া যাবে। নকশা ও আকার ভেদে দাম পড়বে ১৫০ থেকে ২৫০০ টাকা। আড়ং, রঙ বাংলাদেশ, বিশ্বরঙ, অঞ্জনস, কে ক্রাফট, বাংলার মেলার মতো দেশিয় ফ্যাশন হাউসগুলো পাটের পণ্য নিয়ে কাজ করে। তাই সেখানে পাটের ব্যাগ পাওয়া যাবে। ছোট মানিব্যাগ থেকে শুরু করে কলেজের ব্যাগও তৈরি করা হয়েছে পাট দিয়ে। আবার অনলাইনেও উদ্যোক্তারা পাটের ব্যাগ নিয়ে কাজ করছেন। তাই পছন্দমতো আর সুবিধামতো যেকোনো জায়গা থেকেই পাটের ব্যাগ কিনে নেওয়া যাবে।