শারীরিক বা মানসিক যেকোনো রোগের উত্স হয় চিন্তা থেকেই। যে ব্যক্তির যত চিন্তা করবেন তার জীবন ততই জটিল হবে। তবে চিন্তার মধ্যেও প্রকারভেদ রয়েছে। ভালো চিন্তাগুলো শরীর ও মনকে সতেজ করে। কিন্তু দুশ্চিতা করলে তার বিপরীত ঘটে। অর্থাত্ দুশ্চিন্তায় শরীর খারাপ হতে পারে। মানসিক বিষাদ বেড়ে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা কোনো রোগের পাথেয় হিসেবে প্রথমেই বলেন চিন্তামুক্ত থাকতে। কিন্তু তা কি সম্ভব! চিন্তা ছাড়া যেন জীবনই চলে না। সকালে ঘুমে থেকে উঠে শুরু হয় চিন্তা। যা রাত অবধি চলতেই থাকে। এমনকি চিন্তার কারণে ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটে।
তাহলে চিন্তামুক্ত থাকার উপায় কী। অনেক কিছু চেষ্টা করেও যারা চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন না তাদের জন্য সুখবর। জাপানি কৌশলে চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন। অবাক হচ্ছেন! হ্যা, জাপানিরা কিছু কৌশল অবলম্বন করে চিন্তা থেকে দূরে থাকে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে।
অতিরিক্ত চিন্তা দূর করতে এবং মনকে শান্ত করতে কিছু প্রাচীন জাপানি কৌশল রয়েছে। যা আপনিও পরখ করে দেখতে পারেন।
শোগানাই
‘শোগানাই’ মানে ‘এটি সাহায্য করবে না’। যা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে তা সচেতনভাবে মেনে নেওয়া। আমাদের বিশ্বাস করতে হবে, অতিরিক্ত চিন্তা অতীতের ঘটনাগুলোকে পরিবর্তন করতে পারে না। আবার ভবিষ্যতকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এটা মেনে নিতে হবে এবং মানসিক দৃঢ়তা শিথিল করতে হবে। ‘যদি এমন হতো’এই কথা মাথা থেকে বাদ দিতে হবে। তাহলে অতিরিক্ত কোনো চিন্তাই আসবে না।
শিরিন-ইয়োকু
প্রাকৃতিক জগতের শান্ত পরিবেশে নিজেকে রাখুন। ‘শিরিন-ইয়োকু’ বা ‘ফরেস্ট বাথিং’মানে হলো চারপাশের ডিজিটাল জটিল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে প্রকৃতিতে সতেজ শ্বাস নেওয়া। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, প্রকৃতির সবুজের মধ্যে সময় কাটালে দুশ্চিন্তা কমে। এতে স্ট্রেস হরমোন কমে যায়। মন শান্ত হয়। তাই চিন্তা আসলেই পার্কে যান। হাঁটাহাঁটি করুন। বাতাসে শ্বাস নিন। মনে প্রশান্তি আসবে।
গামন
‘গামন’মানে হলো, ‘সহনশীলতা’। এটিকে ‘অধ্যবসায়’ও বলা যায়। পরিস্থিতির আলোকে সহনশীল হতে হবে। মানিয়ে নিতে হবে। আপনি সহনশীল না হলে যেকোনো পরিস্থিতিতেই চিন্তা বাড়বে। সহনশীল হয়ে উঠলে যেকোনো চিন্তা থেকে মুক্তি মিলবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া