• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাপানি ‘কাকিবো’ কৌশলে আয়ের ৩৫ শতাংশ সঞ্চয় হবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৪, ১১:১৩ পিএম
জাপানি ‘কাকিবো’ কৌশলে আয়ের ৩৫ শতাংশ সঞ্চয় হবে
ছবি: সংগৃহীত

সঞ্চয় করার অভ্যাস থাকা ভালো। এই অভ্যাস খারাপ দিনের সহায়ক হয়। আয়ের কিছু অংশ সঞ্চয় করে রাখলে তা পরবর্তী সময়ে কাজে আসে। তাই আয়ের কিছু অংশ হলেও সঞ্চয় করুন।

নিয়েলসন ইন্সটিটিউটের একটি গবেষণার তথ্যে জানা যায়, এশিয়ার ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ অর্থ সঞ্চয় করেন। অন্যদিকে দক্ষিণ আমেরিকায় মাত্র ৩০ শতাংশ মানুষ অর্থ সঞ্চয়ের প্রতি আগ্রহ দেখান।

অর্থ সঞ্চয়ের জন্য এশিয়ায় একটি পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। যা উৎসাহিত করছে পশ্চিমা দেশগুলোর বাসিন্দাদের। এই পদ্ধতির নাম হচ্ছে ‍‍‍`কাকিবো‍‍‍`। প্রায় ১১৫ বছর ধরে জাপানিরা এই পদ্ধতি বা কৌশলে অর্থ সঞ্চয় করছেন। জাপানিদের মতে, এই কৌশলে আয়ের ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করা যায়।

‍‍‍‍`কাকিবো: হিসাব এবং অর্থ সঞ্চয়ের জাপানি কৌশল‍‍‍‍` নামে একটি বইও প্রকাশ হয়েছে। সেই  বইয়ের লেখক ফুমিকো চাইবা। বইয়ে তিনি জানান, ১৯০৪ সালের দিকে কাকিবো পদ্ধতির সূচনা হয়। যা প্রথম তৈরি করেন জাপানের প্রথম নারী সাংবাদিক হানি মোতোকো। জাপানের নারীরা পরিবারের অর্থকড়ি ভালোভাবে সামলাতে পারার কৌশল বের করতেই এই পদ্ধতির আবিষ্কার করেন। কারণ ওই সময় অধিকাংশ নারী বাড়িতেই থাকেন এবং স্বামীর দেওয়া অর্থ থেকে যেটুকু সম্ভব বাঁচিয়ে সঞ্চয় করতেন। তখনই জনপ্রিয়তা যায় কাকিবো পদ্ধতি। এটি নারীদের স্বাধীনতার একটি উপায়ও তৈরি করে।

কাকিবোর মূল কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেন ফুমিকো চাইবা। তিনি জানান, আয় ও ব্যয়কে একাধিক ভাগে ভাগ করে পর্যালোচনা করাই হচ্ছে কাকিবো পদ্ধতি।

জাপানি এই কৌশলের পেছনে আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেসব ব্যয় বাদ দেওয়া যাবে না, সেগুলোকে শনাক্ত করা এবং অপ্রয়োজনীয় খরচগুলো এড়িয়ে চলা।

প্রথমে প্রয়োজন হবে একটি ডায়েরি ও একটি কলম। যেখানে প্রতিদিনের বা সাপ্তাহিক আয় ও ব্যয়ের বিষয়টি কয়েকটি ভাগে লিখতে হবে। যেমন আয়, নিয়মিত খরচ (ভাড়া, পরিবহন, খাবার, ওষুধ), অবসরের খরচ এবং অতিরিক্ত খরচ ডায়েরিতে লিখে রাখতে হবে। মাস শেষে মোট আয় থেকে এসব খরচ বাদ দেবেন।

প্রতি মাসের শুরুতেই এই হিসেব নিয়ে বসতে হবে। মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করে খরচ ও ব্যয়ের সব লিখতে হবে। এরপর কতটা সঞ্চয় করতে চান সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে। এই সঞ্চয়ের লক্ষ্য পূরণে কী করা যায় তাও লিপিবদ্ধ করতে হবে।

সঞ্চয়ের লক্ষ্যপূরণের কিছু বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। যেমন, এখন পর্যন্ত কতটা সঞ্চয় করতে পেরেছেন, এক মাসে কতটা সঞ্চয় করতে চান, কত টাকা খরচ করতে যাচ্ছেন এবং আগের মাসের তুলনায় সঞ্চয় বাড়াতে এই মাসে কী কী করা যেতে পারে।

কাকিবো পদ্ধতিতে আয় এবং ব্যয়ের একটি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যায়। আপনি কোথায় কীভাবে খরচ করছেন এবং কীভাবে সঞ্চয়ের লক্ষ্য পূরণ হবে তা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করবে। তাই জীবনযাত্রাকে স্বচ্ছল ও গতিশীল করতে আপনিও কাকিবো কৌশলটি অবলম্বন করতে পারেন।

Link copied!