সারাদিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। নিজের জন্য সময় বের করার সময়ও হয়তো নেই। পরিবার, বাইরের কাজ, সন্তানদের লালন-পালন, সামাজিক দায়িত্ব পালন কত কাজই না করতে হয়। এই ভিড়ের মধ্যে নিজের জন্য সময় কি বের করছেন? যে সময়টা একান্তই আপনার হবে। যে সময়ে একান্ত নিজের ইচ্ছে আর শখের মূল্য থাকবে। এমন সময় হয়তো অনেকের কাছেই নেই। অথচ জানেন কি, নিজেকে সময় দিলে ভালো থাকা যায়। আর অন্যকেও ভালো রাখা যায়।
সারাদিন যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, দিনের কোনও একটা সময় নিজের জন্য সময় বের করুন। আর ওই সময়ে শুধু নিজের পছন্দের কাজই করতে হবে। সারাদিনে অন্তত এক ঘণ্টা নিজের জন্য বরাদ্দ রাখুন। দেখবেন অন্য কাজে স্পৃহা পাচ্ছেন।
নিজের জন্য যে সময় বের করছেন তা গান শুনে, সিনেমা দেখে, গল্পের বই পড়ে কিংবা পছন্দের অন্য কাজ করে কাটাতে পারেন। কেননা এসব কাজে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। যার প্রভাব আপনার অন্য কাজগুলোতেও পড়বে।
অনেকেই রয়েছেন, যারা পরিবারের যত্ন তো নিচ্ছেন কিন্তু নিজের প্রতি অবহেলা করেন। এটা না করে, নিজের নিয়মিত যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। নিজের ত্বক ও চুলের যত্ন নিন। সময় বের করে পার্লারেও যেতে পারেন। আবার বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ঘরেই নিজের রূপচর্চা সেরে নিতে পারেন।
নিজের শরীরকেও অবহেলা করলে চলবে না। নিয়মিত শাক সবজিসহ ফল রাখতে হবে ডায়েট চার্টে। জাঙ্ক ফুড, বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। শরীরচর্চা করুন। বাড়িতেই সময় বের করে হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। আধঘণ্টা শরীরচর্চা করলেই আপনি শারীরিকভাবে ফিট হয়ে যাবেন।
এছাড়া নিজের শরীর ও মন সুস্থ রাখতে প্রতিদিন বাইরে হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন। পার্কে বা বাড়ির ছাদে নিয়মিত হাঁটুন। এতে নিজেকে প্রানবন্ত মনে হবে।
যারা কাজের ব্যস্ততায় নিজের ঘুমের প্রতি অবহেলা করেন তারা এখনই সতর্ক হন। কারণ নিজেকে ভাল রাখার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ঘুম। ভালো ঘুম হলে আপনিও ভালো থাকবেন। তাই প্রতিদিন সব চিন্তা বাদ দিয়ে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিন।
কাজের প্রতি একাগ্রতা ও নিজের প্রতি মননশীলতা দুটোই জরুরি। মননশীলতা হল কোনও মুহূর্তে আপনি কী অনুভব করছেন এবং সেই সম্পর্কে কতটা গভীর সচেতনতা গড়ে উঠছে নিজের মধ্যে তা যাচাই করা। নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন। নিজের মননশীলতার উন্নতি হবে।