বিয়ের অনুষ্ঠানে বর-কনের বাড়িতে ডালা করে উপহার পাঠানো হয়। সেই ডালার একটা সাজানো হয় পান সুপারি দিয়ে। বহু বছর ধরেই এই রীতি চলে আসছে। শুধু বিয়েতে নয়, যেকোনো অনুষ্ঠানেই খাবারের পর পান খাওয়ার আলাদা আয়োজন থাকে। কেননা খাবারের পর পান না খেলে অনেকেরই তৃপ্তি মিলে না। ভরপেট খাওয়ার পর এক খিলি পান যেন আসল তৃপ্তি দেয়।
নিয়মিত পান খাওয়ার অভ্যাসও রয়েছে অনেকেরই। নেশার মতোই পান খান তারা। প্রতিবেলাই খাবারের পর তাদের পান খাওয়া চাই। অনেকের ধারণা, পান মুখের ফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে। তাই খাওয়ার পর পান ছাড়া চলেই না। এই ধারণা মিথ্যে নয়। তবে পানের আরো গুণ রয়েছে। এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করার পাশাপাশি হজম শক্তি বাড়াতে দারুন কাজ করে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, পান খাবার হজমের জন্য় ভালো হতে পারে। এর রস পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখে। সামান্য় অম্বলের সমস্যা রয়েছে যাদের তারা পান পাতা চিবিয়ে রস খেয়ে নিতে পারেন। উপকার পাবেন।
ডায়াবেটিস রোগীরাও শুধু পান পাতা খেলে উপকার পাবেন। এতে অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক যৌগ রয়েছে। যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।
ছোট-বড় সবার ঠান্ডা, সর্দি কমাতে পান পাতার রস উপকারী। পান পাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে সর্দি, কাশি কমে যায় বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।
তবে বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, যারা নেশার মতো পান খান তাদের জন্য় এটা খুব একটা ভালো ফল দিবে না। কারণ অনেকেই সুপারি, জর্দা দিয়ে পান খান। এসব নেশাদ্রব্য় দিয়ে পান খেলে উপকার পাওয়া যাবে না। এদিকে মিষ্টি পান খেলেও আসল উপকার পাওয়া যাবে না। কারণ বেশি পরিমাণ মিষ্টিদ্রব্য বা ফ্লেভার দিয়ে পান খেলে তা শরীরে অন্যান্য অসুখের উপর প্রভাব ফেলে।