শিশু যখন হাটতে শেখে তখন সে ঘরের এদিক সেদিক টুকটুক করে ঘুরে বেড়ায়। ধীরে ধীরে সে বড় হতে থাকে। বেশির ভাগ সময়েই দেখা যায়, সে তার মায়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে। অনেক সময়েই তার খেলনা ফেলে মায়ের সঙ্গে থাকাটাই বেশি পছন্দ করে। এসময় দেখা যায়, কাজে ব্যস্ত অনেক মায়েরাই আছেন যারা বিরক্ত হয়ে যায়। তাকে নানান কৌশলে খেলনা বা টিভি দিয়ে ব্যস্ত রাখেন। তারপর নিজের কাজ শেষ করে সন্তানের কাছে যান। ঘরের কাজে শিশুদের যুক্ত করেন না তারা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির কাজে বড়দের হাতে হাতে সাহায্য করুক শিশুরাও, কিছু কাজ ওরাও শিখুক। এমনকি শিশুর জন্য খাবার বানানোর সময়েও রাখতে পারেন আপনার সন্তানকে। এমনকি তার খেলনা তাকেই গুছিয়ে রাখতে উৎসাহিত করুন। এতে ছোট থেকে শিশুদের মধ্যে অনেক গুণাবলির প্রকাশ ঘটায়। যেমন-
দায়বদ্ধতার ধারণা দেবে
শিশুকে তার সাধ্যমত কাজ দেন। অবশ্যই সঙ্গে নিজে থাকবেন। যখন জামা কাপড় গোছাবেন তখন তাকেও দিন কাপড় গোছাতে দিন। কিংবা তার খেলনা গুছিয়ে রাখার কাজটিও তাকে দিন। এতে তার দায়বদ্ধতা বাড়বে।
ভাগ করে খেতে শিখবে
বাসায় সবাই যখন কোন কিছু খাবেন তখন বাকিদের খাবারটা আপনার সন্তানের হাত দিয়ে দিন। একই খাবার তাকেও খেতে দিন। এতে সে খাবার সবার মধ্যে ভাগ করে খেতে শিখবে।
আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে
শিশু কাজ করার সময় যখন কোন কাজ ঠিক ভাবে করতে পারবে তখন সে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। ধীরে ধীরে তার আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকবে।
পরিকল্পনার সক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করবে
জীবনের যেকোনো পর্যায়েই পরিকল্পনা করা গুরুত্বপূর্ণ এবং যদি আপনার শিশু জীবনের শুরুতেই এই প্রাথমিক দক্ষতাটি শিখে নিতে পারে তবে আরও ভালো। তাই আপনার সারাদিনে কাজের পরিকল্পনা করুন। শিশুকেও ছোট ছোট কাজ দিয়ে কাজের পরিকল্পনা করতে বলুন। এতে সেও পরিকল্পনা করতে শিখবে।
দায়িত্বশীল হবে
বাড়ির চারপাশে পরিষ্কারসহ বিভিন্ন কাজ ও দায়িত্বগুলোতে আপনার সন্তানকে সম্পৃক্ত করুন। এতে তাদের মধ্যে সংগঠিত, টিমওয়ার্ক এবং জবাবদিহিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা বাড়বে। ঘর পরিষ্কার করা, টেবিল সেট করা বা কাপড় পরিষ্কার করার মতো তাদের যুক্ত করুন এবং তাদের কাজের প্রশংসা করুন।
স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করবে
আপনার শিশুকে যখন তার নিজের কাজ নিজেকে করতে শেখাবেন তখন সে স্বাবলম্বী হতে শিখবে। অন্যের উপর নির্ভরতা কমবে তার। তাই নিজে কাজ করার সময় শিশুকে সঙ্গে নিন।