রমজান মাসে রোজা রেখে ইফতারে হালিম না হলে কি চলে! প্রতিদিন না হোক, মাঝে মাঝে খাবার টেবিলে হালিম থাকা চাই। ইফতারে হরেক পদের সঙ্গে হালিম যেন অন্যতম আকর্ষণ। লোভনীয় এই খাবার খেতে দোকানে ছুটতে হয়। কিন্তু রমজান এলেই হালিমের দাম থাকে চড়া। আবার সব দোকানের হালিম স্বাস্থ্যসম্মতও হয় না। তাই এদিক ওদিক না খুঁজে ঘরেই তৈরি করে নিন মজাদার হালিম।
যা যা লাগবে
গরুর মাংস (হাড় ছাড়া)- ৫০০ গ্রাম
ছোলার ডাল-আধ কাপ
মুগ ডাল-আধ কাপ
মুসুর ডাল-আধ কাপ
বিউলির ডাল-আধ কাপ
গম (পরিবর্তে ডালিয়া)-আধ কাপ
চাল- আধ কাপ
জিরেগুঁড়ো-২ টেবিল চামচ
ধনেগুঁড়ো-২ টেবিল চামচ
হলুদগুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ
মরিচ গুঁড়ো- আধ চা-চামচ
সাদা তেল- ২ কাপ
ঘি- ১ কাপ
পেঁয়াজ- ৫০০ গ্রাম
পুদিনা পাতা- ১০০ গ্রাম
আদা- ১০০ গ্রাম
রসুন- ২০০ গ্রাম
লবণ- স্বাদমতো
হালিম যেভাবে বানাবেন
প্রথমেই হালিমের মশলা বানিয়ে নিন। চুলায় শুকনো খোলা দিন। এর মধ্যে ১টি তেজপাতা, ১টি জয়িত্রী, অর্ধেক জায়ফল, ১টি শুকনো লঙ্কা, ১ চা-চামচ ধনে, ১ চা-চামচ জিরে, ৩-৪টি দারচিনির টুকরো, ৫টি লবঙ্গ, ১টি বড় এলাচ, ৫টি ছোট এলাচ, ১টি তারামৌরি ভালো করে নাড়াচাড়া করে মিক্সিতে গুঁড়িয়ে নিন। হালিমের মশলা তৈরি হয়ে যাবে।
এরপর সব রকম ডাল, দালিয়া ও চাল শুকনো খোলায় হালকা করে নাড়াচাড়া করে নিন। সবগুলো মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন। এ বার এই গুঁড়ো কুসুম গরম পানিতে ২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
মাংস ভালো করে ধুয়ে আদাবাটা, রসুনবাটা, লবণ, শুকনো মরিচ গুঁড়ো, গরমমশলা গুঁড়ো ও সামান্য হলুদ গুঁড়ো মাখিয়ে রেখে দিন।
এবার বড় হাঁড়িতে তেল এবং ঘি গরম করুন। তার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিন। ভাল করে ভেজে নিয়ে আদাবাটা, রসুনবাটা দিয়ে কষিয়ে নিন। সব ধরনের গুঁড়ো মশলা দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এ বার মাংসটা দিয়ে দিন। আঁচ কমিয়ে, হাঁড়ির মুখ ঢাকা দিয়ে মাংস সেদ্ধ হতে দিন। ১০ মিনিট পর ভিজিয়ে রাখা চাল-ডাল-দালিয়ার মিশ্রণ ঢালুন। চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। কিছু ক্ষণ রান্নার পরে হালিমের মশলা দিয়ে দিন।
অন্য একটি কড়াইয়ে সামান্য তেল নিন। গরম হলে তেলে রসুন কুচি ভেজে সেদ্ধ হওয়া ডালের উপর থেকে তা ছড়িয়ে দিন। হালকা আঁচে আস্তে আস্তে ফোটান। ৩০ মিনিট পর ভেজে রাখা পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ কুচি, পাতিলেবুর রস, ধনেপাতা এবং পুদিনাপাতা ছড়িয়ে দিন। এবার ইফতার টেবিলে গরম গরম পরিবেশন করুন।