আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন মানুষের মধ্যে বেড়েই চলছে। দৈনন্দিন জীবনে হাজারও ব্যস্ততার মধ্যে অনেক সময়েই কাছের মানুষের খবর ভালোভাবে নেওয়া সম্ভব হয় না। যতটুকু যোগাযোগ থাকে সেটাতেও অনেক সময় বুঝা যায় না তার মনের মধ্যে কি চলছে। নানান কারণে মানুষ বিষন্নতায় ভোগে। সেই বিষণ্ণতা থেকে দেখা দেয় হতাশা। তারপরই কোন একসময় মানুষ বেঁছে নেয় নিজেকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত। তবে কাউকে দেখেই সে আত্মহত্যার কথা ভাবছে কী না সেটা বুঝা মুশকিল। তারপরও যদি কাছের কারও আচরণে হঠাৎ করেই অন্য রকম কিছু পরিলক্ষিত হয়, তাহলে খুব দ্রুত বিষয়টা নিয়ে তার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করা ভালো। সেই ব্যক্তির আচরণ বা কথাবার্তা যদি সন্দেহজনক বা অসংলগ্ন মনে হয়, তাহলে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে, বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। যেসব বিষয় দেখলে সতর্ক হবেন-
- কোন কারন ছাড়াই যদি কারও আচরণে পরিবর্তন দেখেন তখন খেয়াল রাখতে হবে
- হটাত করেই যদি আপনার কাছের মানুষকে দেখেন হাইপার অ্যাকটিভ হয়ে উঠছেন, আবার নয়তো অনেক বেশি চুপচাপ হয়ে গেছেন তখন সতর্ক হোন।
- সবকিছুতেই যখন বলছেন, ভালো লাগছে না।
- সবকিছুতেই যদি নেতিবাচক আচরণ করে বা ইতিবাচক বিষয় যদি তার কথায় না প্রকাশ পায় তখন তার প্রতি আলাদা খেয়াল রাখবেন।
- ভবিষ্যৎ নিয়ে যদি হতাস থাকে বা কোনও পরিকল্পনা না থাকে তখনও ভাবতে হবে তাকে নিয়ে।
- ঠিকমতো ঘুম বা খাওয়া দাওয়া না করলে কিংবা কারও সঙ্গেই তেমন কথা না বললে বা না বা পরিবারের কোনো বিষয়েই মাথা ঘামাচ্ছে না। এইটাও এক ধরণের আত্মহতায়র প্রবনতার লক্ষণ।
- কখনও কখনও ফেসবুকে হতাশামূলক স্ট্যাটাস দেয় আবার অনেকে আত্নহত্যা করার আগেও জানান দেয়। যদি এমন কোনও স্ট্যাটাস দেখেন তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।