বাঙালির প্রিয় খাবার ভাত। গরম ভাতের সঙ্গে ভর্তা, মাছ কিংবা মাংস খাওয়ার স্বাদই আলাদা। দুই বেলা পেট ভরে ভাত না খেলে যেন তৃপ্তিই মেটে না। ভাত রান্না করা খুব সহজ। আবার একটু অসতর্ক হলে ভাতের বারটা বেজে যায়। ঝরঝরে ভাত রান্না করার কৌশলটা তাই আয়ত্ত করতে হয়।
সাধারণ চালের ভাত রান্না করছেন। তবে সেই ভাতে যদি বাসমতির স্বাদ পাওয়া যায় তবে কিন্তু মন্দ হয় না। এর জন্য পাকা রাঁধুনি হতে হয় না। শুধু রাঁধুনি ছোট্ট কৌশলটা জানলেই হয়। সাধারণ পোলাও, বিরিয়ানি বা ভাপানো চালের স্বাদ কেন ভালো হয় জানেন? রান্নার দক্ষতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় উপকরণের মিশ্রণেই সেই স্বাদ পাওয়া যায়। আর সেই সুগন্ধে ভরে যায় চারপাশ। তাই সাধারণ ভাতকে সুস্বাদু এবং সুগন্ধী করার রহস্যটা এখানেই। একটি উপাদান ব্যবহারেই মিলবে বাসমতির সেই স্বাদ আর গন্ধ।
ভাতে কীভাবে মিলবে বাসমতির স্বাদ
পাকা রাঁধুনিরা অনেকেই এই কৌশলটা জানেন। তবে সেই সংখ্যা খুবই কম। তাই অধিকাংশই সাধারণ ভাতে বাসমতির স্বাদের রহস্যটা জানেন না। এই স্বাদ পেতে বেশি কষ্ট করতে হবে না। শুধু সাধারণ চাল ভালো করে ধুয়ে ভাত রান্না করার সময় কিছু মশলা দিয়ে দিন। বিশেষ করে ভাতের চাল ফুটানোর সময় কয়েকটি তেজপাতা ছেড়ে দিন। দেখবেন সুগন্ধে ভরে গেছে সাদা ভাত। সেই সঙ্গে ভাতও হবে ঝরঝরে। এই পদ্ধতিতে ভাত রান্না করলে স্বাস্থ্য উপকারও পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
চাল ফোটানোর সময় তেজপাতা দিলেই সুগন্ধ পাওয়া যাবে। ভাত ফোটানোর সময় মাত্র দুটো তেজপাতা দিলেই বাসমতী চালের মতো স্বাদ চলে আসবে। তবে ভাতের পানি ঝরানোর সময় তেজপাতা বের করে নিতে হবে।
পুষ্টিবিদদের মতে, তেজপাতায় ভিটামিন এ, বি৬ এবং ভিটামিন সি-এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিপাক ক্রিয়াও উন্নত হয়। তাছাড়া এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা সংক্রমণ ও অ্যালার্জির প্রভাব কমায়।
এই বিষয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশ হয় ডিজিটাল জার্নাল ওয়েবএমডি-তে। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, তেজপাতা স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস এবং ই. কোলি উভয়ের বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। এছাড়াও এইচ পাইলোরি নামে একটি ব্যাকটেরিয়া যা আলসার এবং ক্যানসার সৃষ্টি করে তার বিরুদ্ধে লড়াই করে। সেই সঙ্গে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতেও বেশ কার্যকর এই তেজপাতা।