রাগ একটি মানসিক অনুভূতি। অনেকে হঠাত্ করেই তীব্র রেগে যান। কারো কথায় খারাপ লাগলেই রাগ, ক্ষোভে নিজেও চিত্কার করেন। আবার পরক্ষণেই হয়তো রাগের জন্য অনুতপ্ত হন। রাগের মাথায় বলা কথাগুলোর জন্য অনুশোচনা হয়। তখন মনে হয়, রাগ না করে নিজেকে সামলানো উচিত ছিল। নিজেকে সামলাতে পারলেই নেতিবাচক অনুভূতি থেকে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভয় থাকে না। তাই রাগ কিংবা ক্ষোভ হলে নিজেকে সামলে নেওয়ার কিছু টেকনিক জেনে নিন।
- রাগ উঠলে চুপ থাকুন। প্রয়োজনে সেখান থেকে বেরিয়ে আসুন। কোনো মিটিংয়ে রেগে গেলেন। সেখান থেকে অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে আসুন। জোরে জোরে নিশ্বাস নিন। পানি খান। বাড়িতে রেগে গেলে বাইরে চলে যান। মিনিট ১৫ হেটে আসুন। মেজাজ শান্ত হবে তখন বাড়িয়ে ফিরে আসুন। রাগের প্রতিক্রিয়া দেখাতে যাবেন না। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার অপেক্ষা করুন।
- কাজের চাপ বেড়ে গেলে মেজাজ খিটখিটে হতে পারে। এক পর্যায়ে রাগও বেড়ে যেতে পারে। কোনটা রেখে কোনটা করবেন তা ঠিক করতে পারছেন না হয়তো। এমন পরিস্থিতিতে কাগজ-কলম নিয়ে কী কী কাজ জমে আছে তার তালিকা করুন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আগে করুন। সব চিন্তা বাদ দিয়ে শুধু কাজেই সময় দিন।
- যদি অনিশ্চয়তায় ভোগেন বা আত্মবিশ্বাসের অভাব থেকে হতাশ হয়ে যান তখন নিজেকে সামলাবেন কীভাবে? এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে অতীতের দিকে ফিরে তাকান। কঠিন সময়ের কথা ভাবুন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সামলে নিতে পারবেন নিজেকে।
- অনেকেই আছেন, যারা নিজের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ করেন, নিজের দক্ষতা নিয়ে প্রবল হীনম্মন্যতায় ভোগেন। এটি ‘ইমপোস্টার সিনড্রোম’। অনেক সময়ই মানুষকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। তাই নিজের দক্ষতাকে নিজেরই মূল্যায়ন করুন। মন দিয়ে আপনার দায়িত্ব পালন করুন। সময় এলে মূল্যায়ন পাবেন।
- কোনো কাজে প্রত্যাখ্যান হলে রাগ হয়। আবার হতাশাও ঘিরে ধরে। কথায় আছে ‘রিজেকশন ইজ রিডিরেকশন’। জীবনের কোনো কাজে প্রত্যাখ্যান পেয়েছেন পরক্ষণেই ঘুরে দাড়ান। জীবনের মোড় ঘুরে যাবে। জীবনে আরও ভালো কিছু ঘটতে পারে। তাই প্রত্যাখান নিয়ে পরে থাকবেন না। নিজেকে ভালোবাসুন। দেখবেন হতাশা, ক্ষোভ কমে গেছে।
- কোনো কাজে বা কোনো পরিস্থিতিতে ভয় হতেই পারে। ভয় থেকে উদ্বেগ বাড়ে। এই অবস্থায় বড় বড় শ্বাস নিন। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে। এতে ভয় ও উদ্বেগ নিমিষেই কমে যাবে। নিজেকে স্থির করুন। এরপর কিছুক্ষণ সময় নিন। সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।