দাঁত যেমন শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ তেমনি আবার এটিকে সঠিক পরিচর্যা না করলে একদম বিগড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে দাঁত ভালো রাখার জন্য মাড়ি ভালো রাখা জরুরি। কারণ গোড়া ভালো না থাকলে কোনোকিছুই ভালো রাখা যায় না। তাই দাঁতের মাড়ি শক্ত ও সুস্থ রাখতে হবে। নিয়মিত যত্ন নেওয়া ও সঠিক খাবার গ্রহণ করলে মাড়ি ভালো রাখা সহজ হবে। চলূন জেনে নিই মাড়ির যত্ন নেওয়ার ঘরোয়া কিছু উপায়-
দাঁত ব্রাশ
দিনে দুইবার দুই মিনিট সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। ফ্লোরাইড সমৃদ্ধ টুথপেস্ট বেছে নিন। এটি হলো এক ধরনের খনিজ যা এনামেলকে শক্তিশালী করে এবং দাঁতকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করে। দাঁত মাজার প্রক্রিয়াকে আকর্ষণীয় এবং দ্রুত করতে ইলেক্ট্রিক টুথব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, ইলেক্ট্রিক টুথব্রাশ দাঁত পরিষ্কার ও মাড়ি ভালো রাখার কাজে বেশি কার্যকরী।
ভারসাম্যপূর্ণ খাবার
চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন, এটি দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগ বাড়িয়ে দিতে পারে। ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন আপেল, শাক-সবজি ইত্যাদি দুর্দান্ত কারণ এসব খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এবং এসব খঅবার চিবিয়ে খান।
খাওয়ার পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন
প্রতিবার খাবার খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করা জরুরি নয়। খাওয়ার পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে ভুলবেন না। ধুয়ে ফেলার ফলে মুখের মধ্যে থাকা শর্করা এবং খাবারের কণা দূর হয়ে যায়।
ধূমপান ত্যাগ করুন
ধূমপান এবং তামাক ব্যবহার মাড়ির রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। যেহেতু ধূমপান ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়, তাই আপনার শরীরের পক্ষে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং দ্রুত নিরাময় করা কঠিন হয়ে যায়।
ডেন্টিস্টের কাছে যেতে হবে
নিয়মিত পরীক্ষার জন্য ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া জরুরি। ব্রাশ বা ফ্লস করার পরেও দাঁতে কিছু জমে থাকলে তা পেশাদার ডেন্টিস্ট পরিষ্কার করে দিতে পারবেন।
প্রতিদিন ফ্লস ব্যবহার করুন
আমাদের দাঁতের ফাঁকে কিছু খাদ্যকণা আটকে থাকে যেখানে টুথব্রাশও পৌঁছাতে পারে না। এক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী একটি উপায় হলো ফ্লস ব্যবহার করা। দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখার জন্য দিনের কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন।
ফ্লোরাইড যুক্ত মাউথওয়াশ
দাঁত ব্রাশ করার পরে অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য ফ্লোরাইড যুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। মাউথওয়াশ শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া এবং খাবারের কণা দূর করতেই সাহায্য করে না বরং ফ্লোরাইডের সাহায্যে আপনার দাঁতের এনামেলকে সুরক্ষিত রাখে।