• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বৃষ্টির দিনে পায়ের যত্ন নেবেন যেভাবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৪, ১১:২০ এএম
বৃষ্টির দিনে পায়ের যত্ন নেবেন যেভাবে
ছবি: সংগৃহীত

টানা কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি পড়ছে। এসময় ঘরে বসে থাকলে বৃষ্টি উপভোগ্য হয় কিন্তু সবসময় তো ঘরে বসে থাকা যায় না। অফিসে কিংবা নানান কারণে এই বৃষ্টিতেই আমাদের বাইরে যেতে হয়। পানি ও কাদার মধ্যে রাস্তায় বেরোতে কারোরই ভালো লাগে না। কিন্তু উপায় না থাকলে বেরোতেই হয়। পানি–কাদা প্যাচপেচে রাস্তায় সবচেয়ে বেহাল হয় পা। বর্ষার পানিতে পায়ের নানা রকম ত্বকের সমস্যা তো আছেই। তাই বর্ষাকালে পায়ের যত্নের ব্যাপারে বিশেষ যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।  এই মৌসুমে পায়ের যত্ন নেবেন কীভাবে, জেনে নিন।

  • বর্ষাকালে অনেকেই রাবারের জুতা পরেন। আজকাল ক্লগ পরার প্রচলন বেড়েছে। কাদা ও জমে থাকা পানি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে পা ঢাকা জুতা পরুন। এতে ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে পা’কে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
  • বর্ষাকালে জুতা ভেজা থাকলে একাধিক সমস্যা হয়। তাই এমন জুতা পরুন, যাতে পানি জমবে না। প্রয়োজনে একাধিক জুতা ব্যবহার করুন।  আর বৃষ্টির পানিতে পা ভিজে গেলেও কাগজের টিস্যু দিয়ে মুছে নিন। পা সবসময় শুকনো রাখুন।
  • সপ্তাহে অন্তত একবার অবশ্যই জুতা ধুয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। বাড়িতে থাকলে কখনো খালি পায়ে হাঁটবেন না। কারণ, এ সময়ে পায়ের অনুভূতি কমে যায় বলে কোনোভাবে কেটে গেলে কিংবা ফোসকা পড়লে টের পাবেন না। সেখানে ময়লা ঢুকে সংক্রমণ হয়ে যেতে পারে। বাইরে থেকে বাড়িতে ঢুকে প্রথমেই অ্যান্টিসেপটিক দেওয়া পানিতে বা সাবান দিয়ে পা ধুয়ে নিন। তাহলে পায়ে কোনো ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা থাকবে না।
  • পায়ের যত্নে আর্দ্রতা ধরে রাখা জরুরি। এ জন্য ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এতে পা সুন্দর ও মসৃণ থাকবে। প্রতিদিন দুবার শুকনা পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত।
  • বর্ষায় পা ভিজে থাকায় আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। এছাড়া চুলকানি বা ঘা দেখা হতে পারে। তাই জুতো পরার আগে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার লাগিয়ে নিন। এতে পায়ে ইনফেকশনের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন।
  • পায়ের নখ বড় থাকলে এতে ময়লা জমতে পারে। ময়লা জমে গেলে ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে। তাই পায়ের নখ ছোট রাখতে হবে।
  • যদি কোথাও কেটে যায়, তাহলে ক্ষতস্থান যেন খোলা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। ফলে যদি ক্ষতস্থান খুলে রাখেন, তাহলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। প্রয়োজনে ওয়াটারপ্রুফ ব্যান্ডেড ব্যবহার করুন।
  • বর্ষায় মাসে অন্তত দুইবার বাড়িতে অথবা পারলারে পেডিকিউর করা জরুরি। যদি পার্লারে যেতে না চান এক্ষেত্রে নিম পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। তারপর এতে পাতিলেবুর রস, অল্প লবণ ও শ্যাম্পু মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। নিমপাতা প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে। এরপর ঝামা পাথরের সাহায্যে গোড়ালি ও পায়ের তলা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। পা শুকনা করে মুছে নিন। ভালো কোনো ক্রিম পুরো পায়ে লাগিয়ে নিন।
Link copied!